1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
নাগরিকদের দুর্ভোগের কথাটিও মনে রাখুন - dailynewsbangla
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
স্যালাইন পানি  নিয়ে পথচারী ও ভ্যান শ্রমিকদের পাশে চেয়ারম্যান প্রার্থী লিটু শরীফ নওগাঁয় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে  আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  বগুড়া আদমদীঘিতে উপজেলা নির্বাচনে ১০ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা বাঘা উপজেলার কাদিরপুর উচ্চ বিদ‍্যালয় মাঠে বৃষ্টির জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায় বগুড়ায় ফেন্সিডিলসহ ২ জন  গ্রেফতার   ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়  তীব্র তাপদাহে নগরীর ১০ টি পয়েন্টে স্যালাইনপানি বিতরণ করবে রাসিক দৌলতপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে  প্রতিপক্ষের উপর হামলা, আহত ৩ বগুড়ায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে পথচারীদের বিশুদ্ধপানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ বোয়ালমারীতে ২০টি মাদক মামলার আসামি মাদকসহ গ্রেপ্তার

নাগরিকদের দুর্ভোগের কথাটিও মনে রাখুন

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
ফাইল ছবি

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণ সভা–সমাবেশ করে রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে তাদের নীতি ও কর্মসূচির কথা জানাবে, এটাই নিয়ম। সে ক্ষেত্রে কোন দল ক্ষমতায় আছে আর কোন দল ক্ষমতার বাইরে, সেটি দেখা প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব নয়। তাদের দায়িত্ব শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং জনগণের জানমালের হেফাজত করা।

সেই বিবেচনায় গত রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশটি যে ভালোয় ভালোয় শেষ হয়েছে, সে জন্য দলের নেতারা ধন্যবাদ পেতে পারেন। দুই বছর পর অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ ছিল বিএনপির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আগেই হুঁশিয়ার করে দিয়েছিলেন সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো অঘটন ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ না করা সত্ত্বেও ঢাকার প্রবেশপথ ও শহরের বিভিন্ন সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রাখা কেবল অস্বাভাবিক নয়, বেআইনিও। মালিকেরা বাস নামাননি বলে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে সাফাই গাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাঁরা কার ইঙ্গিতে কাজটি করেছেন, সেটি খতিয়ে দেখা জরুরি। বিরোধী দলের কর্মসূচি থাকলেই বাস-ট্রেন-লঞ্চ বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দেওয়ার কুঅভ্যাসটি ত্যাগ করা বাঞ্ছনীয়।

বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করতে পারে বলে সরকারের তরফে দীর্ঘদিন ধরে বলে আসা হচ্ছে। রোববারের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ তেমন আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। প্রতিটি গণতান্ত্রিক দলেরই কর্তব্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন। এ কারণে আমরা বরাবর হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বিরোধিতা করে আসছি। কোনো অবস্থায়ই জনগণের জানমালের ক্ষতি হয় কিংবা তারা দুর্ভোগে পড়ে, এ রকম কর্মসূচি নেওয়ার সুযোগ নেই।

তবে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এও মনে রাখতে হবে যে, ভয়াবহ যানজটে আক্রান্ত রাজধানীতে আহূত সমাবেশ যত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলই হোক না কেন, জনদুর্ভোগ এড়ানো যাবে না। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া কোনো সমাবেশ করা উচিত নয়। বিকল্প হিসেবে তারা পাড়ায় পাড়ায় ছোট ছোট সমাবেশ করতে পারে। আর আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে রাস্তা বন্ধ করে ঘন ঘন সমাবেশ করারই বা কী প্রয়োজন? জনগণের করের পয়সায় চালিত রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও বেতার যদি সরকারি দলের মুখপত্র না হয়ে সব দলের বক্তৃতা–বিবৃতি প্রচার করে, তাহলে সমাবেশের প্রয়োজনীয়তা অনেকখানি কমে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ