1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
আটক আসামি ছেড়ে দেয়ায় এএসআইয়ের ছাড়তে হলো থানা - dailynewsbangla
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ঘোড়াঘাটে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ও পাশের হারের শীর্ষে রানীগঞ্জ আদর্শ বিদ্যানিকেতন নওগাঁর ৭০ শতাংশ সড়কবাতি নষ্ট হওয়ায় বেড়েছে চুরি-ছিনতাই বাঘায় মাদ্রাসার সরকারি বরাদ্দকৃত প্রকল্পের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা গল্প: চরাঞ্চলের এক নক্ষত্র – আলাল ভাই – পর্ব-২ গল্প: আলাল কানা – অন্ধ জীবনের বর্ণময় প্রদীপ- পর্ব ১ বোয়ালমারীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, ইয়াবা সহ ব্যবসায়ী আটক দৌলতপুর সীমান্তে ১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার অবৈধ জাল জব্দ: বিজিবি ও প্রশাসনের বড় সাফল্য দৌলতপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে তুলার বীজ বিতরন বোয়ালমারীতে যৌথ বাহিনীর অভিযান মাদকসহ গ্রেপ্তার ২ আলফাডাঙ্গায় ভুয়া ডেন্টাল ডাক্তারের এক বছরের  কারাদণ্ড ও লাখ টাকা জরিমানা

আটক আসামি ছেড়ে দেয়ায় এএসআইয়ের ছাড়তে হলো থানা

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২

গাজীপুরের শ্রীপুর ম‌ডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আনিছুর রহমানের বিরুদ্ধে (ইয়াবা) মাদকসহ তিন আসামিকে আটকের পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

গত রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শ্রীপুর থানা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা (ডিএসবি)’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আমিনুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স, প্রতিনিয়ত পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে‌। যে কেউ অপরাধ করুক, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়াও ওই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে এমন খবরে আনন্দিত এলাকাবাসী। কারণ উপজেলার তেলীহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী বৃন্দাবন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য সেবন ও বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় অপরাধ কর্মকাণ্ড বেড়েছে। সচেতন মহলের দাবি মাদক নির্মূলে যুগোপযোগী ব্যবস্থা নেওয়া সহ অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক।

উল্লেখ্য, উপজেলার তেলীহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী (বৃন্দাবন) এলাকা থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় মাদকসহ তিনজনকে আটক করার পর দফারফা করে ছেড়ে দেন এএসআই আনিছুর রহমান। এসময় তাকে সহযোগী করেন আরো দুইজন। তবে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করার সময় সাদা পোশাকে (সিভিল) অবস্থায় ছিলেন। তাদের যানবাহন হিসেবে ছিলো সিএনজি অটোরিকশা।

মাদকসহ তিন আসামিরা হলেন, টেপিরবাড়ী এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার (২৮), চাঁন মিয়ার সিফাত (১৯), টেংরা নয়াপাড়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিব (১৮)।

এবিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী টেপিরবাড়ী এলাকার রব্বানী মৃধার ছেলে জয় বলেন, পুলিশ হঠাৎ আসামিদের ধরতে চেষ্টা করে, একপর্যায়ে আমার সহযোগিতা চাইলে,আমি আনোয়ারকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে পুলিশ জানায় তাদের কাছে ইয়াবা ট্যাবলেট আছে। অপর দুই আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এসময় তাদের সাথে থাকা দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। এ মোটর সাইকেল স্থানীয় শহিদুল্লাহর বাড়িতে রাখা হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মাদকের বিরুদ্ধে কোন ছাড় নেই, পুলিশকে বলেছি আসামি চালান দেয়ার জন্য। কিন্তু আসামিকে ছেড়ে দেয়া ঠিক হয়নি।

আনোয়ারের স্বজন জানান, তিন আসামিকে পুলিশের কাছ অনেক তদবীর করে রাখতে হয়েছে। এছাড়াও তিনজনের জন্য তেত্রিশ হাজার টাকা পুলিশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

অপরদিকে সিফাতের মা বলেন, আমার এক ছেলে জেলে আছে, পুলিশকে অনেক অনুরোধ করে এবারের মত ক্ষমা করতে বলেছি।শহিদুল্লাহ বলেন, পুলিশকে চা পান খাওয়ার মত অল্প কয়েকটা টাকা দেয়া হয়েছে। ‌

এসব বিষয় অস্বীকার করে ওই এএসআই আনিছুর রহমান বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ না থাকলে, চিলে কান নিয়েছে, এসব খুঁজে লাভ নেই। আমি কারো কাছ থেকে কোন টাকা-পয়সা নেয়নি, এসব মিথ্যা কথা। আমার সন্দেহ হয়েছিল, এজন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছি‌।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ