ঢাকা ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির ভাগ্যের ফয়সালা হবে উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ট্রাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক  সভা অনুষ্ঠিত মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা ভেড়ামারায় মাদক প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালমারীতে ভীমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু  কুষ্টিয়া-১ আসনে মনোনয়ন পেয়ে নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বাচ্চু মোল্লা লক্ষ্মীপুরে তওহীদ ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে ছাত্রদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মান্দায় সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ আর কি দখল মুক্ত হবে? বোয়ালমারী চিতারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ঘোড়াঘাটে হিজড়া থাকলেও ভোটার তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গের ক্যাটাগরি শূন্য

এ,আর টি কলেজ নামেই সরকারী শিক্ষকের পদ শুন্য ১৩টি ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

মোঃবেল্লাল হোসেন, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি আব্দুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক কর্মচারীর ১৩পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শুন্য রয়েছে ।শিক্ষাগ্রহনে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ৩হাজার শিক্ষার্থী। চলতি বছরের ডিসেম্বর শুন্য হবে আরও এক পদ। কলেজটি সরকারী করনের পর থেকে শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা।

কলেজ সূত্রে জানা যায়,১৯৮৪ সালের ১জুলাই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুউল্লাহর মা জেবুন্নেছার অর্থায়নে তার নানা আব্দুর রসিদ নামে কলেজটির নামকরন করা হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছর পর ২০১৮ সালের ৮আগষ্ট সরকারীকরন করা হয়। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন তালুকদার কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু থেকে ৩বছর অবৈতানিক অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে মুহাঃ মহিউদ্দিন ২০১০সালের ২ মে অবসরে যান । এর পর থেকে কলেজটিতে অধ্যক্ষ পদটি শুন্য রয়েছে । কলেজ প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পর ২০০৫সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে ডিগ্রী কোর্স চালু করেন । বর্তমানে ওই অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, ইংরেজি প্রভাষক ১টি, ইসলামিক শিক্ষা ১টি, পৌরনীতি ২টি, সাধারন ইতিহাস ১টি, ইসলামিক ইতিহাস ১টি, গনিত ১টি, রসায়ন ১টি, পদার্থ ১টি, হিসাব বিজ্ঞান ১টি ও লাইব্রেরিয়ান ১টিসহ ১৩টি পদ শুন্য রয়েছে।

এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ নিয়ে শিক্ষকরা দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মামলা ও মানববন্ধনের মত ঘটনা ঘটেছিল ওই প্রতিষ্ঠানে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাংলা প্রভাষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান অবসরে যাবেন। কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকার কারনে অন্যত্রে প্রাইভেট পড়েও ভাল ফলাফল করা সম্ভব হচ্ছে না।

অপরদিকে বাড়তি খরচের সম্মূখীন হচ্ছেন অভিভাবকরা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান জানান, অত্র কলেজে শিক্ষক ও আসবাবপত্র সংকট রয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কলেজ পরিচলনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোঃ আল-আমিন জানান,কলেজে শিক্ষকের বেশ কয়েকটি পদ শুন্য রয়েছে তবে সরকারি কলেজ সরকারের বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির ভাগ্যের ফয়সালা হবে

এ,আর টি কলেজ নামেই সরকারী শিক্ষকের পদ শুন্য ১৩টি ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

মোঃবেল্লাল হোসেন, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি আব্দুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক কর্মচারীর ১৩পদ দীর্ঘদিন যাবৎ শুন্য রয়েছে ।শিক্ষাগ্রহনে ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় ৩হাজার শিক্ষার্থী। চলতি বছরের ডিসেম্বর শুন্য হবে আরও এক পদ। কলেজটি সরকারী করনের পর থেকে শুন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা।

কলেজ সূত্রে জানা যায়,১৯৮৪ সালের ১জুলাই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুউল্লাহর মা জেবুন্নেছার অর্থায়নে তার নানা আব্দুর রসিদ নামে কলেজটির নামকরন করা হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠার ৩৫ বছর পর ২০১৮ সালের ৮আগষ্ট সরকারীকরন করা হয়। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন তালুকদার কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু থেকে ৩বছর অবৈতানিক অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।

পরে অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করে মুহাঃ মহিউদ্দিন ২০১০সালের ২ মে অবসরে যান । এর পর থেকে কলেজটিতে অধ্যক্ষ পদটি শুন্য রয়েছে । কলেজ প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পর ২০০৫সালে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে ডিগ্রী কোর্স চালু করেন । বর্তমানে ওই অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, ইংরেজি প্রভাষক ১টি, ইসলামিক শিক্ষা ১টি, পৌরনীতি ২টি, সাধারন ইতিহাস ১টি, ইসলামিক ইতিহাস ১টি, গনিত ১টি, রসায়ন ১টি, পদার্থ ১টি, হিসাব বিজ্ঞান ১টি ও লাইব্রেরিয়ান ১টিসহ ১৩টি পদ শুন্য রয়েছে।

এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদ নিয়ে শিক্ষকরা দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মামলা ও মানববন্ধনের মত ঘটনা ঘটেছিল ওই প্রতিষ্ঠানে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে বাংলা প্রভাষক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান অবসরে যাবেন। কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানান, প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকার কারনে অন্যত্রে প্রাইভেট পড়েও ভাল ফলাফল করা সম্ভব হচ্ছে না।

অপরদিকে বাড়তি খরচের সম্মূখীন হচ্ছেন অভিভাবকরা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ খলিলুর রহমান জানান, অত্র কলেজে শিক্ষক ও আসবাবপত্র সংকট রয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কলেজ পরিচলনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোঃ আল-আমিন জানান,কলেজে শিক্ষকের বেশ কয়েকটি পদ শুন্য রয়েছে তবে সরকারি কলেজ সরকারের বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে।