আব্দুল আলীম সাচ্চু: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত জান মোহাম্মদের ছেলে জামায়াতের অন্যতম নেতা ও একাধিক মামলার আসামি আশরাফুলের তান্ডবে তার আপন মেজো ভাইয়ের বউ শিউলি আক্তার ঘর ছাড়া।
জানাজায় গত (৭এপ্রিল) সকালে আশরাফুল ইসলাম ও তার বড় ভাই মিজানুর রহমান, ফিরোজা খাতুন ও রেশমা খাতুনকে নিয়ে জোরপূর্বক অবৈধ ভাবে শিউলি আক্তারের বাড়ীঘর দখল করতে আসে , এসময় প্রবাসী নাজমুল ইসলামের বউ শিউলি আক্তার তাদের বাধা দিতে গেলে আশরাফুল গ্যাং দেশিও অস্ত্র ও বাঁশের লাঠি দিয়ে শিউলি আক্তারকে বেধরমারধোর করে এবং তার বাড়িঘর ভাঙচুর শুরু করে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় যে, আশরাফুল ইসলাম জামায়াত- শিবিরের একজন অন্যতম নেতা, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে তিন থেকে চারটি মামলা রয়েছে। এবং একাধিকবার সে জেল হাজতও খেটেছে। তার কুকর্মের কথা এলাকাবাসী সবাই জানলেও ভয়ে মুখ খোলেনা। ভুক্তভোগী শিউলি আক্তার জানান,গত ৬ এপ্রিল সকালে আশরাফুল এবং তার লোকজন নিয়ে এসে তার পরিবারের সদস্যদের ঘরে ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে রাখে।
এবং ৭ এপ্রিল আবার পুনরায় এসে তাদের ঘর বাড়ি ভাংচুর করে এতে সে এবং তার ছেলে বাঁধা দিতে গেলে তারা তাদের মারপিট করে। এবং বলতে থাকেন সরকারের নাশকতার মামলায় আমাকে কেউকিছু করতে পারেনি আর তোরা আমার কি করবি। এই কথা বলে আর তাদের মারপিট করে এবং বাড়িঘর ভাংচুর করে দখল করে নেয় এবং বাড়ি থেকে তাকে ও তার ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী শিউলি আক্তারের প্রবাসী স্বামী নাজমুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে সে অসহায়ত্ব শিকার করে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এবিষয়ে দৌলতপুর থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে আশরাফুল ইসলাম মামলার হাত থেকে বাঁচতে সুকৌশলে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তির নাটক সাজায় এবং ভুক্তভোগী শিউলি আক্তারের না-বাল্যক ছেলে মাহফুজ আহমেদ বিরুদ্ধে তাকে মারধর এর অভিযোগ আনে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এলাকাবাসী জানায় শিউলি আক্তারের বাড়ির ওয়াল ভাংচুর এর সময় ওয়ালের উপর থেকে পড়ে গিয়ে মুখের একপাশে আঘাত পায় এবং এই আঘাতকে পুঁজি করে শিউলি আক্তার ও তার ছেলে মাহফুজ এর নামে মিথ্যা অভিযোগ আনেন।
নাশকতা সহ একাধিক মামলার আসামি আশরাফুলের সঠিক বিচার হোক এবং গৃহবধূ শিউলি আক্তার তার নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।
এবিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম. জাবীদ হাসান বলেন, শিউলি আক্তার যে মামলা করেছে সেই মামলা আমরা তদন্ত করছি এবং আমরা তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।