কাজী মোস্তফা রুমি: আপনজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
ঢাকা-টাঙ্গাইল এবং বঙ্গবন্ধু সেতু মহসড়কে বাড়ছে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ।
আজ শুক্রবার সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দেখা যায়, যাত্রীবাহী বাসসহ নানা যানবাহনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ফিরছে মানুষ। তবে মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও কোথাও যানজট নেই।
বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে উত্তরের ১৬টি এবং দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৫ জেলার মানুষ ফিরতে শুরু করছে ঈদের পরদিন থেকেই। তবে আজ এই মহাসড়কে ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ বেড়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম প্রান্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন দুপুর সাড়ে ১২টায় জানান, ঢাকামুখী যানবাহনের চাপ থাকলেও কোথাও গাড়ি থেমে নেই। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘রাতে গাড়ির চাপ আরও বাড়তে পারে। তবে মূল চাপটা যাবে আগামীকাল শনিবার। পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’
সকালে ঢাকামুখী কয়েকটি বাসের চালক জানান, পথে কোথাও তারা যানজটে পড়েননি।
পাবনা থেকে ঢাকাগামী বাসের চালক বাদল মিয়া বলেন, ‘এবারে পথে তেমন যানজটে পড়িনি। বঙ্গবন্ধু সেতু কাছে প্রতি ঈদেই সমস্যায় পড়তে হয়। তবে এবার সমস্যা কম হয়েছে।’
বগুড়া গ্রামের বাড়ি ঈদ করে ঢাকার কর্মস্থলে ফিরছেন চাকুরিজীবী মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘শনিবার বেশি ভিড় হতে পারে তাই একদিন হাতে রেখেই ফিরছি। এবার যাওয়া আসার পথে তেমন ভুগতে হয়নি।’
এদিকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহনের অপেক্ষায় কর্মস্থলে ফেরা মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন না থাকায় বৃষ্টির মধ্যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষায় থাকা ঢাকার যাত্রী আব্দুল কাদের জানান, বাস পাচ্ছেন না তিনি। পেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘২০০ টাকার ভাড়া ৪০০ টাকা চাচ্ছে।’
দুপুরের দিকে বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে গাড়ির গতি কমে গেছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আতাউর রহমান দুপুর একটায় জানান, গাড়ির চাপ থাকলেও মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বৃষ্টি না বাড়লে আর দুর্ঘটনা না হলে কোনো সমস্যা হবার কথা নয়।
তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ ইতোমধ্যেই কর্মস্থলে ফিরেছেন। আজ অনেকে যাচ্ছেন। আগামীকাল আরও বেশি যাবেন।’