সারা বাংলাদেশে রংপুর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের যৌক্তিক আন্দোলনের উপরে মেয়র – কাউন্সিরের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলার বিচারের দাবী তুলছে হরিজনবাসীরা।
রিপোটঃ শ্রী সুকদেব লাল, শুভ, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি।
এই বিচারের দাবী এই জন্যই তুলতে হবে তিনি কোন অধিকার বলে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালিয়েছে? মেয়র কী তার পকেট থেকে টাকা দিবে? বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের উপরে কোন মেয়রের এমন জঘন্যতম ঘটনা। এই হামলার বিচার দাবী তুলতে হবে সবজায়গায়। রংপুরে সিটি করপোরেশনের মেয়র পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হামলা করে জঘন্যতম এক ইতিহাস তৈরি করেছে। কিছুদিন আগেও সিরাজগঞ্জেও বিরাট ঝামেলা থেকে বেচে গিয়েছে নতুন বিল্ডিং নির্মাণের সময় একটা ঝামেল সৃষ্টি হয়েছিল। যাইহোক একজন মেয়র তার অধীনস্থ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিতে পারেননা। যেসকল সন্ত্রাসী হামলা করেছে তারা কারা? তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী?
এই মেয়র – কাউন্সিলর তার গুন্ডা বাহিনীর বিচার হওয়া উচিৎ। কী অপরাধে কলোনীতে গিয়ে ঘুম থেকে তুলে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের লাঠি রড দিয়ে পিটানো হল? কী কারণে আন্দোলনরত কর্মীদের বাড়ীতে হামলা চালানো হল? কী কারণে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয়া হয়েছে? কী কারণে নারীদের নিগৃহীত করা হয়েছে?
কী কারণে কলোনীতে গিয়ে মেয়রের গুন্ডারা হুমকী দিয়েছে রাতে তোদের পুড়িয়ে মারা হবে?
কী কারণে মিছিলে মেয়র গুন্ডা বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা করে ছোট থেকে শুরু করে নারী -পুরুষকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হল? মেয়রের সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ, সাংবাদিকদের সামনে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীরা কীভাবে বলতে পারে ” হরিজনের কালো হাত ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও”! এই হুমকীর কেউ বিরোধিতা করেনি তাদেরকে কেউ থামায়নি এমনকী পুলিশও না।
পুলিশের সামনে এমন হুমকী দেয় কীভাবে?
মেয়রের একতরফা সন্ত্রাসী হামলার পরেও এখন পর্যন্ত মেয়রকে জিজ্ঞেসবাদ করেনি পুলিশ প্রশাসন!!? কেন?
মেয়র ও তার গুন্ডামী বাহিনী কী আইনের উর্দ্ধে ? মেয়রের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা কী কোন অপরাধ নয় আইনের চোখে?
তাহলে আমরা ধরে নেব পুলিশ মেয়রের হয়ে কাজ করছে। যদি তাই না হয় তাহলে প্রকাশ্যে মিছিলে মেয়েরর হামলা করে আহত করার বিরুদ্ধে পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে? আমরা জানতে চাই। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পাশে পুলিশ নেই, পুলিশ আছে মেয়রের সাথে?
জনগণের টাকায় চলা পুলিশ কেন হামলার বিচার করবে না?
এই দাবীও তুলতে হবে।
সারা দেশের মেয়রের চরিত্র একরকম, কোন পার্থক্য নেই।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা তাদের দাবী মেয়রের কাছেই করবে।মেয়রের কাজ হল তাদের সাথে বসে একটা সমাধান করা। কিন্তু তিনি ১০ পার্সেন্ট বাড়িয়ে তিনি ঔদ্ধত্য আচরণ করে। বিস্তারিত আপনার হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের লিফলেট ও আন্দোলন চলাকালীন তাদের সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত জানা যাবে)। আজকে যদি আমরা এই হামলার বিচারের দাবী তুলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে না পারি তাহলে যেকোনো যে কোনো জায়গায় এমন হামলা হলে তখন কিছুই করার থাকবেনা। তাই বিচারের দাবী তুলুন। রংপুর হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের এই আন্দোলন সঠিক। আমরা মনে করি এই লড়াই এখন শুধু রংপুর হরিজন অধিকার আদায় সংগঠনের একার নয়, এলড়াই এখন সবার। এই ঐতিহাসিক লড়াইকে সামনে আনুন। কোনভাবেই অপরাধীদের ছাড় দেওয়া যাবেনা। রংপুর পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও নেতৃত্বকারী সংগঠন আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে আন্দোলন করতে হয়। এই আন্দোলনে আমাদের জয়ী হতেই হবে। তাই ১১ দফা বাস্তবায়নের জন্যও সমগ্র দেশে আন্দোলন গড়ে তুলুন। সবরকম মাধ্যম ব্যবহার করুন। হামলার ভিডিও ছবি প্রচার করুন। মেয়রের সাংবাদিক সম্মেলনের ভিডিও প্রচার করে জনগণের কাছে তার মিথ্যাটি প্রকাশ করুন।