নবীন প্রজন্ম থেকে প্রবীণ প্রজন্মের নিকট জনপ্রিয়তার শীর্ষে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু
কাজী মোস্তফা রুমি, স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সার্বক্ষণিক টাংগাইল-৬ নাগরপুর দেলদুয়ার আসনে রাজনীতির মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দক্ষিণ টাঙ্গাইল গর্ব, নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, ৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রাজপথ কাঁপানো সাবেক ছাত্র ও যুবনেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সহ-সভাপতি জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু। তিনি নাগরপুর দেলদুয়ারের নবীন প্রজন্ম থেকে প্রবীণ প্রজন্ম পর্যন্ত সকলের কাছে আওয়ামী রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছেন। তিনি দীর্ঘ ২৬ বছর যাবত পর্যায়ক্রমে ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সম্মুখভাগে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তার নির্বাচনী আসন টাঙ্গাইল-৬ নাগরপুর দেলদুয়ারের প্রথমে নাগরপুর পরবর্তীতে দেলদুয়ারের সাধারণ মানুষের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষভাবে তিনি নাগরপুরের মানুষের একমাত্র প্রাণের দাবি ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়নের জন্য “ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়ন কমিটি” নামক একটি সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক হিসেবে নাগরপুরের সকল মানুষকে সাথে নিয়ে বিগত বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের সময় কঠিন আন্দোলন করেছিলেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় শিকার হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে নাগরপুরবাসীকে ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়ন করে দেন। স্থানীয় সকল জনগণ একবাক্যে বলেন যদি জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু এই সেতুর জন্য আন্দোলন সংগ্রাম না করতেন তাহলে হয়তো আমরা এই ধলেশ্বরী সেতু পেতাম না। এইজন্য আমরা তার নিকট কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি তিনি ঢাকার বাংলাবাজারে কর্মরত নাগরপুরের প্রায় কয়েক হাজার পুস্তক বাধাই শ্রমিক, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত জুট মিলে কর্মরত নাগরপুর দেলদুয়ারের মানুষের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য তিনি বাংলাদেশ পুস্তক বাধাই মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি নাগরপুর দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামীলীগকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকটি জাতীয় অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে যাচ্ছেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, আগস্ট’২৩ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেলদুয়ার এবং নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন ইউনিয়নে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ধারাবাহিকভাবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উভয় উপজেলা আওয়ামীলীগে ঐক্যবদ্ধতার ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, যা ইতিপূর্বে নাগরপুর দেলদুয়ারের আওয়ামী রাজনীতিতে ঘটেনি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু’র সাথে গণমাধ্যমের বিস্তারিত আলোচনা হয়। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন- আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। মনোনয়ন কেন্দ্রিক রাজনীতি শুরু থেকেই করিনি, এখনো করছি না। মনোনয়ন দিবেন আওয়ামীলীগ সভাপতি, বাংলার ১৮ কোটি জনগণের আস্থার শেষ আশ্রয়স্থল, সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই মনোনয়ন দেবেন। আমি আমার অবস্থান থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ্। আমি নাগরপুর দেলদুয়ারের মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। নতুন প্রজন্মকে একটি স্মার্ট ও আধুনিক নাগরপুর দেলদুয়ার উপহার দেওয়াই আমার রাজনীতির মূল লক্ষ্য। আমি একটি স্মার্ট ও আধুনিক নাগরপুর দোলদুয়ারের স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন না দেখলে তো স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা যায় না। নাগরপুর দোলদুয়ারের প্রত্যেকটি মূল রাস্তা আলোকিত করার স্বপ্ন দেখি। সদর উপজেলা থেকে প্রত্যেকটি ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক পুরোপুরি পাকা করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখি। পাশাপাশি নাগরপুরের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় স্থায়ী বেরিবাধের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে নাগরপুরের মানুষকে রক্ষা করতে চাই এবং সেই বেরিবাধে একটি সুন্দর মনোরম পার্ক তৈরি করে সকল বয়সের মানুষকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ করে দিতে চাই। আমি আশা রাখি আমার এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে আমি বিগত সময়ের মতো নাগরপুর দেলদুয়ারের সমগ্র জনগণকে পাশে পাবো, ইনশাআল্লাহ্।