রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর একটি অভিজাত চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট ও কমিউনিটি সেন্টারে চলছিল বিয়ের কার্যক্রম। বিয়ের কার্যক্রম প্রায় শেষ। হঠাৎ উপস্থিত একটি তরুনী। প্রথমে বউ দাবী করলেও পরবর্তীতে প্রেমিকা বলে স্বীকার করেন। এরপর শুরু হৈ-হুল্লোড়, চিৎকার- চেচামেচি। সাংবাদিকরা কথা বলতে গেলেও গণমাধ্যমের সাথে অশালীন আচরন করেন বর পক্ষের লোকজন। এক পর্যায়ে জোর করে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের করে দেয় সেই তরুণীকে।
ঘটনাটি শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সি এন্ড বি মোড়স্থ একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে ঘটেছে। এসময় প্রেমিকা দাবী করা সেই তরুণী জানান, তার সঙ্গে প্রতারণা করেছে সিফাত জামান নামের একটি ছেলে। সে রাজশাহীর দড়িখড়বোনা এলাকার আক্তারুজ্জামান আতার ছেলে এবং ভুক্তভোগী তরুনীর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলায়।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, রংপুরের কারমাইকেল কলেজে সিফাতের সাথে অনার্স শেষ করেছেন। সেসময় থেকে প্রেমের সম্পর্ক তাদের। এরপর থেকে নিয়মিত তাদের যোগাযোগ এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলেন সিফাত। পরে মেয়েটি জানতে পারে তার সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। তার কাছে তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কাছে সকল ডকুমেন্টস ছিল। কিন্তু সিফাত কৌশলে সেই ফোনটি ভেঙ্গে ফেলে। এসময় তার সাথে তার আরেক বান্ধবি উপস্থিত ছিলেন। তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এসময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে খবর পেয়ে ছুটে আসে আরএমপির রাজপাড়া থানা পুলিশ।
সিফাত বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। শুক্রবার এক নবীন নারী আইনজীবীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। এমন ঘটনার ব্যাপারে সিফাত ও তার পরিবারের সাথে কথা বলতে গেলে তারা নানা অযুহাত দিয়ে ঘটনার বিষয় এড়িয়ে যান।
তবে এঘটনায় ভুক্তভোগী ঐ তরুনী মামলা করবে বলে গণমাধ্যমকে জানান।