1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ - dailynewsbangla
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০

মোঃ আশিকুর রহমান রনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হকের সমর্থকদের ছাত্রলীগের ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জেলা শহরের ফারুকী পার্কস্থ স্মৃতিসৌধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে সংগঠনের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে ভিপি নূরের সমর্থকরা স্মতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যায়। এ সময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মী বলে তাদেরকে শ্রদ্ধা নিবেদনে বাধা দেয় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও তাঁর কর্মী-সমর্থকরা। পরে ফুল দিয়ে স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এসময় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতহাতির ঘটনাও ঘটে।

এ ঘটনায় স্মৃতিসৌধ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া জাতীয় পতাকা নিয়ে স্মৃতিসৌধের সামনের সড়কে মিছিল করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল মিয়া বলেন,‘আমরা আনুমানিক ৩০/৪০ জন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই। ছাত্রলীগ নেতারা

আমাদের বাধা দিয়ে বলেন- ৪-৫ জনকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে। আমরা তাদের কথামতো ৪-৫ জন নিয়ে ফুল দিয়ে স্মৃতিসৌধ অভ্যন্তর থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে। এতে আমাদের জেলা কমিটির সভাপতি আশরাফুল হাসানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আমাদের সঙ্গে কোনো শিবিরকর্মী ছিলনা। কয়েকজন মাদরাসাছাত্র ছিলেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদের সাথে আমাদের কোনো হাতাহাতি বা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তারা শিবিকর্মীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়েছিল। এ সময় তারা স্মৃতিসৌধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে। পরে ছাত্রসমাজের লোকজন তদেরকে (শিবিরকর্মী) বিতাড়িত করে দেয়। পরবর্তীতে আমরা স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে মিছিল করেছি’।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন্স) ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে কিছু হয়নি। বাইরে কিছু হয়েছে কিনা সেটি বলতে পারবনা’।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ