1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
শার্শায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা জমির আমন ধান: কৃষকের ব্যাপক লোকসান - dailynewsbangla
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মোহনপুরে আলোচনা সভা বোয়ালমারীতে ছুটি ছাড়াই দুই শিক্ষক অনু উপস্থিত শোকজ ভেড়ামারায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকদের মানববন্ধন নারীদের স্বাবলম্বী করতে জীবনতরী টেকনিক্যাল ট্রেনিং একাডেমীতে এসআইসিআইপি প্রকল্পের উদ্বোধন রাজশাহীর শাহমুখদুম থানায় সেবা সংকট, সাংবাদিকের পেশাগত কাজে ওসি’র বাধা বরেন্দ্র অঞ্চলে আউশের ফলনে খুশি হলেও দাম নিয়ে হতাশায় চাষীরা  ঘোড়াঘাটে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার রাজশাহীর শাহমুখদুম থানায় সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ ঘোড়াঘাটে পাশের ঘরে বরকে রেখে নববধূর আত্মহত্যা দশমিনায় অটোরিকশা উল্টে চালকের মৃত্যু 

শার্শায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা জমির আমন ধান: কৃষকের ব্যাপক লোকসান

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০২১

ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধি: গত কয়েক দিনের মৃদু ঝড় ও টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে যশোরের শার্শা উপজেলার নিম্ন অঞ্চলের সদ্য রোয়া আমন ধান। সেই সাথে পানিতে ডুবে গেছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে এ অঞ্চলের শত শত কৃষক পরিবার-পরিজন নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

চলতি মৌসুমে আমনে চরম লোকসান ভেবে আগামীতে রবি ফসল ও বোরো মৌসুমে ফসলের আবাদ কীভাবে করবেন সেই চিন্তায় গভীর ভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন তারা। সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গার নিম্ন অঞ্চলের আবাদি জমির বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে শুধু পানি আর পানি।

চারিদিকে থইথই করছ পানিতে ভরা ফসলের মাঠ। দেখে বোঝার উপায় নেই এখানেই ডুবে আছে কৃষকের সোনালী ফসল। গত কয়েক দিনের মৃদু বাতাস আর টানা বৃষ্টিতে শার্শা উপজেলার শত শত কৃষকের হাজার হাজার বিঘা সদ্য রোয়া আমন ধান সাথে বীজতলা তলিয়ে গেছে। আমনের পাশাপাশি অনেক কৃষকের সবজি খেতও বিনষ্ট হয়ে গেছে।

কোথাও কোথাও আমন ধানের গাছ মাথা উঁচু দাঁড়িয়ে থাকলেও গত দু’দিনে তা পঁচন ধরতে শুরু করেছে । ফলে আমন ধানের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এদিকে আরও কয়েক দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে কিংবা পানি সরানো না গেলে আমন ধানের সাথে সবজি খেতও সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

উপজেলার এ সমস্ত নিম্ন অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে বৃষ্টি বন্ধ হলে এবং কয়েকদিন আকাশ ভাল গেলে ধান গাছের মাথা জাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে জানান কৃষকরা। তবে কৃষকদের এই সংকটময় দুঃসময়ে হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার সার্বিক ব্যবস্থা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল।

চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৫শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে শত শত বিঘা জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষক ও কৃষি বিভাগের রয়েছে কঠোর পরিশ্রম। সোনালী ফসল ঘরে তুলে হাসি ফুটবে কৃষাণ কৃষাণীর মুখে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় সচেতন মহলের।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ