ঢাকা ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান:  অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন হোসেনাবাদ টেকনিক্যালে একাদশ শ্রেণিতে সবাই অকৃতকার্য বোয়ালমারীতে সদ্য ঘোষিত বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, টায়ারে আগুন বোয়ালমারীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণলঙ্কারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট  দৌলতপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ ২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত  প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন করলেন এসপি সাফিউল সারোয়ার দিনাজপুরের কৃতি সন্তান রোকমুনুর জামান রনি আবারও বেসিস সহায়ক কমিটিতে নির্বাচিত পদ্মার চরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ ২ যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তারেক রহমান

দশমিনায় সরকারি খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা জ¦লাবদ্ধতায় প্রশাসনিক অফিস সহ হাজার পরিবার।

 

মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

দশমিনার প্রান কেন্দ্র উপজেলা পরিষদ ও সবুজবাগ আবাসিক এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে দখল করে রেখেছেন। একটু বৃষ্টি হলেই উপজেলা পরিষদ সহ সবুজবাগ ঘনবসতি এলাকায় হাটু সমান পানি জমে। ঘনবসতি ওই এলাকার মানুষের এখন প্রানের দাবী সরকারি এই খালটি খুব দ্রুত অবমুক্ত করা।
স্থানীয়রা জানান, দশমিনা উপজেলা পরিষদের পিছনে পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি ভাবে একটি খাল রাখা হয়েছে। খালটি তেঁতুলিয়া নদী থেকে শাখা খালের সাথে সংযুক্ত। ওই খালটি উপজেলা পরিষদসহ ঘনবসতি সবুজবাগ আবাসিক এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। একটু বৃষ্টি হলেই উপজেলা পরিষদ ও সবুজবাগ এলাকায় হাটু সমান পানি জমে যায়। এতে সবুজবাগ এলাকার মানুষের চলাচলে যেমন দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে তেমনি বিভিন্ন অফিস আদালতে সেবা নিতে আসা উপকারভোগীদের ভোগান্তির সম্মুখিন হতে হচ্ছে। ওই খালটি পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালটির দুই পাশে স্থানীয়রা মাটি ফেলে অধিকাংশই ভরাট করে ফেলেছে। খালটির উত্তর মুখে নিজেদের রেকর্টকৃত সম্পত্তি দাবী করে ভরাট করে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তাই বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হয়ে যায়। সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. ইদ্রিস আহমেদ মুন্সি বলেন, আমাদের বসবাস ৩০—৩৫ বছর এখানে দেখে এসেছি সবুজবাগ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি ব্যাবহার করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে খালটির উত্তর পাশ দিয়ে নদীর শাখা খালের সাথে মিলিত হওয়ার জায়গাটি আটকে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সুজন বেগম বলেন, আমার পিতা মৃত্যু ইউনুস হাওলাদার উপজেলা পরিষদের স্পিড বোট চালাক ছিলেন। আমি দেখেছি এই খাল দিয়া স্পিড বোট নিয়া উপজেলা পরিষদের পিছনে আসত। মহল্লার সব পানি এই খাল দিয়া নামত। খালটা স্থানীয় লোকজন বন্দ করে বাড়ি বানাইছে। একটু বৃষ্টি হলেই এখন আমরা পানিতে ভাসি। ঘর থেকে নামার উপায় থাকেনা। খালটি অবমুক্ত করার জন্য পূর্বে আমরা ইউএনও অফিসে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছি। তাতে কোন লাভ হয়নি। পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি অবমুক্ত করা এখন আমাদের প্রানের দাবী।
ওসাহরব হোসেন বলেন ৪—৫দি আগে জোয়ারের পানি উঠে এলাকা সহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের সামনে হাটু সমান পনি ওঠে এমনকি ইউিএনও স্যারের বাসার সামনে পানি জমে থাকে । উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা উপকারভোগীরা মৎস্য, কৃষি, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, বিএরডিবি, পল্লি সঞ্চায় উন্নয়ন ব্যাংক এ হাটু সমান পানির মধ্যদিয়ে যেতে দেখা যায়। সবুজ বাগ এলাকার ওই খালটি অবৈধ দখলদারদের থেকে মুক্ত করে খনন করলে এলাকাবাসি ও উপজেলায় আসা উপকাভোগীদের এমন পরিস্থিতিতে পরতে হবেনা। আমারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে খাল খনন ও অবৈধ দখল মুক্ত করার দাবি জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউিএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, স্থানীয়দের নিয়ে খালটি আমি পরিদর্শন করেছি এবং খালটির উত্তর পাশে অনেক আগে একটি বাড়ি নির্মান করা হয়েছে। যার কারনে পানি নামার কোন জায়গা নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মৎস বিভাগের সাথে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে মৌখিকভাবে খাল খনন প্রকল্প দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান:  অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন

দশমিনায় সরকারি খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা জ¦লাবদ্ধতায় প্রশাসনিক অফিস সহ হাজার পরিবার।

আপডেট টাইম : ০৫:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২

 

মোঃবেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি

দশমিনার প্রান কেন্দ্র উপজেলা পরিষদ ও সবুজবাগ আবাসিক এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খালটি স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে দখল করে রেখেছেন। একটু বৃষ্টি হলেই উপজেলা পরিষদ সহ সবুজবাগ ঘনবসতি এলাকায় হাটু সমান পানি জমে। ঘনবসতি ওই এলাকার মানুষের এখন প্রানের দাবী সরকারি এই খালটি খুব দ্রুত অবমুক্ত করা।
স্থানীয়রা জানান, দশমিনা উপজেলা পরিষদের পিছনে পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি ভাবে একটি খাল রাখা হয়েছে। খালটি তেঁতুলিয়া নদী থেকে শাখা খালের সাথে সংযুক্ত। ওই খালটি উপজেলা পরিষদসহ ঘনবসতি সবুজবাগ আবাসিক এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। একটু বৃষ্টি হলেই উপজেলা পরিষদ ও সবুজবাগ এলাকায় হাটু সমান পানি জমে যায়। এতে সবুজবাগ এলাকার মানুষের চলাচলে যেমন দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে তেমনি বিভিন্ন অফিস আদালতে সেবা নিতে আসা উপকারভোগীদের ভোগান্তির সম্মুখিন হতে হচ্ছে। ওই খালটি পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালটির দুই পাশে স্থানীয়রা মাটি ফেলে অধিকাংশই ভরাট করে ফেলেছে। খালটির উত্তর মুখে নিজেদের রেকর্টকৃত সম্পত্তি দাবী করে ভরাট করে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তাই বর্তমানে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ হয়ে যায়। সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. ইদ্রিস আহমেদ মুন্সি বলেন, আমাদের বসবাস ৩০—৩৫ বছর এখানে দেখে এসেছি সবুজবাগ এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি ব্যাবহার করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে খালটির উত্তর পাশ দিয়ে নদীর শাখা খালের সাথে মিলিত হওয়ার জায়গাটি আটকে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সুজন বেগম বলেন, আমার পিতা মৃত্যু ইউনুস হাওলাদার উপজেলা পরিষদের স্পিড বোট চালাক ছিলেন। আমি দেখেছি এই খাল দিয়া স্পিড বোট নিয়া উপজেলা পরিষদের পিছনে আসত। মহল্লার সব পানি এই খাল দিয়া নামত। খালটা স্থানীয় লোকজন বন্দ করে বাড়ি বানাইছে। একটু বৃষ্টি হলেই এখন আমরা পানিতে ভাসি। ঘর থেকে নামার উপায় থাকেনা। খালটি অবমুক্ত করার জন্য পূর্বে আমরা ইউএনও অফিসে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছি। তাতে কোন লাভ হয়নি। পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি অবমুক্ত করা এখন আমাদের প্রানের দাবী।
ওসাহরব হোসেন বলেন ৪—৫দি আগে জোয়ারের পানি উঠে এলাকা সহ উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের সামনে হাটু সমান পনি ওঠে এমনকি ইউিএনও স্যারের বাসার সামনে পানি জমে থাকে । উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা উপকারভোগীরা মৎস্য, কৃষি, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, বিএরডিবি, পল্লি সঞ্চায় উন্নয়ন ব্যাংক এ হাটু সমান পানির মধ্যদিয়ে যেতে দেখা যায়। সবুজ বাগ এলাকার ওই খালটি অবৈধ দখলদারদের থেকে মুক্ত করে খনন করলে এলাকাবাসি ও উপজেলায় আসা উপকাভোগীদের এমন পরিস্থিতিতে পরতে হবেনা। আমারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে খাল খনন ও অবৈধ দখল মুক্ত করার দাবি জানাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউিএনও) মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, স্থানীয়দের নিয়ে খালটি আমি পরিদর্শন করেছি এবং খালটির উত্তর পাশে অনেক আগে একটি বাড়ি নির্মান করা হয়েছে। যার কারনে পানি নামার কোন জায়গা নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও মৎস বিভাগের সাথে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে মৌখিকভাবে খাল খনন প্রকল্প দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।