ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
মাদক নয়, খেলাই হোক যুব সমাজের পথ’—গাদন খেলায় বাচ্চু মোল্লা দৈনিক দিনের খবর পত্রিকার ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রাজশাহীর মোহনপুরে ওয়ার্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ফকিরপাড়া তরুণ সংঘ চ্যাম্পিয়ন বরেন্দ্র অঞ্চলে আমন ধানে ছত্রাক ও মাজরা পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষকরা  লালপুরে চেয়ারম্যানের ছেলে সহ ইমো হ্যাক প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার ঘোড়াঘাটে ফুটপাত ও ড্রেন দখল প্রশাসনিক অবহেলায় বাড়ছে ভোগান্তি ভোটের শক্তিতেই পরিবর্তন, বন্দুকের ভয় নয় — প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম কুষ্টিয়ায় বিজিবির অভিযানে ১৮ লাখ টাকার  চোরাচালানী পণ্য জব্দ দৌলতপুরে জমি নিয়ে বিরোধে সৎভাইয়ের হাতে যুবক খুন, আহত ৩ মিরপুর মালিহাদে বিএনপি’র কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ

মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় শীতের সকালে রসের হাঁড়ি নিয়ে গাছিরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও এক হাঁড়ি রস মেলে না। বিকেলে চোখে পড়ে না খেজুর গাছ কাটার দৃশ্য। একসময় এ অঞ্চলের খেজুর গাছ পোড়ানো হতো ইটভাটায়।

এর ফলে দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যা শুধুই কমেছে, নতুন করে খেজুর গাছের চারা রোপণে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। এর ফলে প্রায় বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। আর রস সংগ্রহ করা গাছিরাও পরিবর্তন করেছে তাঁদের পেশা।

এখন খেজুর রসের স্বাদ সবার ভাগ্যে জোটে না। একসময় গ্রামীণ জনপদে মৌসুমী খেজুরের রস দিয়েই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকালে নতুন ধানের চাল দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা পায়েস তৈরিতে খেজুরের রস ও গুড়ের কোন জুড়ি নেই। এখন গাছিরা তাদের শীতকালের এই পেশা ছেড়ে নেমে গেছে অন্য কাজে।

বর্তমান কয়েক গ্রাম ঘুরেও একজন গাছি পাওয়া যায় না। উপজেলার ঈশ^রপুর গ্রামের বাবু বলেন, ‘আগের মত এলাকায় খেজুর গাছ নেই। আর খেজুর গাছ কেটে এখন পেট চলে না। বয়স হয়েছে, তাই আমি ওই পেশা ছেড়ে দিয়েছি।’ এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ বাবু অরুন চন্দ্র দেবনাথ জানান, খেজুর গাছ রোপণ ও সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাদক নয়, খেলাই হোক যুব সমাজের পথ’—গাদন খেলায় বাচ্চু মোল্লা

নওগাঁয় বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ

আপডেট টাইম : ০৩:৫৪:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২১

মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁয় শীতের সকালে রসের হাঁড়ি নিয়ে গাছিরা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও এক হাঁড়ি রস মেলে না। বিকেলে চোখে পড়ে না খেজুর গাছ কাটার দৃশ্য। একসময় এ অঞ্চলের খেজুর গাছ পোড়ানো হতো ইটভাটায়।

এর ফলে দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যা শুধুই কমেছে, নতুন করে খেজুর গাছের চারা রোপণে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। এর ফলে প্রায় বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ। আর রস সংগ্রহ করা গাছিরাও পরিবর্তন করেছে তাঁদের পেশা।

এখন খেজুর রসের স্বাদ সবার ভাগ্যে জোটে না। একসময় গ্রামীণ জনপদে মৌসুমী খেজুরের রস দিয়েই শুরু হয় শীতের আমেজ। শীতকালে নতুন ধানের চাল দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা পায়েস তৈরিতে খেজুরের রস ও গুড়ের কোন জুড়ি নেই। এখন গাছিরা তাদের শীতকালের এই পেশা ছেড়ে নেমে গেছে অন্য কাজে।

বর্তমান কয়েক গ্রাম ঘুরেও একজন গাছি পাওয়া যায় না। উপজেলার ঈশ^রপুর গ্রামের বাবু বলেন, ‘আগের মত এলাকায় খেজুর গাছ নেই। আর খেজুর গাছ কেটে এখন পেট চলে না। বয়স হয়েছে, তাই আমি ওই পেশা ছেড়ে দিয়েছি।’ এ নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ বাবু অরুন চন্দ্র দেবনাথ জানান, খেজুর গাছ রোপণ ও সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।