ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান:  অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন হোসেনাবাদ টেকনিক্যালে একাদশ শ্রেণিতে সবাই অকৃতকার্য বোয়ালমারীতে সদ্য ঘোষিত বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, টায়ারে আগুন বোয়ালমারীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, স্বর্ণলঙ্কারসহ কোটি টাকার মালামাল লুট  দৌলতপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ ২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত  প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন করলেন এসপি সাফিউল সারোয়ার দিনাজপুরের কৃতি সন্তান রোকমুনুর জামান রনি আবারও বেসিস সহায়ক কমিটিতে নির্বাচিত পদ্মার চরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ ২ যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তারেক রহমান

হোসেনাবাদ টেকনিক্যালে একাদশ শ্রেণিতে সবাই অকৃতকার্য

হোসেনাবাদ টেকনিক্যালে একাদশ শ্রেণিতে সবাই অকৃতকার্য

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণির বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় এক জন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। পুরো শ্রেণির ব্যর্থতায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কলেজটির বিভিন্ন ট্রেড থেকে মোট ৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে সবাই উচ্চতর গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হয়, ফলে কেউই একাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে পারেনি। নিয়ম অনুযায়ী তারা দ্বাদশ শ্রেণিতে উন্নীত হবে, তবে পরবর্তীতে ওই বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাব্বি বলেন, “আমরা সবাই ফেল করেছি—এটা বিশ্বাস করা কঠিন। অনেকেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছি, তবুও নম্বর পাইনি। আমরা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার চিন্তা করছি। প্র্যাকটিক্যাল মার্কস নিয়েও প্রশ্ন আছে। মনে হয়, উচ্চতর গণিতের ক্লাসে দুর্বলতা ছিল।”

এক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “৬৯ জন শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে—এটা অস্বাভাবিক। শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা আছে কি না, তা তদন্ত করা উচিত।”

অভিযোগ সম্পর্কে উচ্চতর গণিতের শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হয়নি এবং তাদের পড়ালেখায় আগ্রহের ঘাটতি ছিল। তাই এমন ফল হয়েছে। আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না।”

কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জানান, “চলতি বছরের বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় ৬৯ জন অংশ নিয়েছিল। সবাই উচ্চতর গণিতে অকৃতকার্য হয়েছে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) আমরা ফলাফল হাতে পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠবে এবং পরবর্তীতে পুনরায় ওই বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান:  অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন

হোসেনাবাদ টেকনিক্যালে একাদশ শ্রেণিতে সবাই অকৃতকার্য

আপডেট টাইম : ০৬:২১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

হোসেনাবাদ টেকনিক্যালে একাদশ শ্রেণিতে সবাই অকৃতকার্য

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণির বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় এক জন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। পুরো শ্রেণির ব্যর্থতায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, চলতি শিক্ষাবর্ষে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কলেজটির বিভিন্ন ট্রেড থেকে মোট ৬৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে সবাই উচ্চতর গণিত বিষয়ে অকৃতকার্য হয়, ফলে কেউই একাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে পারেনি। নিয়ম অনুযায়ী তারা দ্বাদশ শ্রেণিতে উন্নীত হবে, তবে পরবর্তীতে ওই বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাব্বি বলেন, “আমরা সবাই ফেল করেছি—এটা বিশ্বাস করা কঠিন। অনেকেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছি, তবুও নম্বর পাইনি। আমরা বোর্ড চ্যালেঞ্জ করার চিন্তা করছি। প্র্যাকটিক্যাল মার্কস নিয়েও প্রশ্ন আছে। মনে হয়, উচ্চতর গণিতের ক্লাসে দুর্বলতা ছিল।”

এক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “৬৯ জন শিক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে—এটা অস্বাভাবিক। শিক্ষকদের দায়িত্বহীনতা আছে কি না, তা তদন্ত করা উচিত।”

অভিযোগ সম্পর্কে উচ্চতর গণিতের শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, “শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হয়নি এবং তাদের পড়ালেখায় আগ্রহের ঘাটতি ছিল। তাই এমন ফল হয়েছে। আমাদের কোনো অবহেলা ছিল না।”

কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জানান, “চলতি বছরের বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় ৬৯ জন অংশ নিয়েছিল। সবাই উচ্চতর গণিতে অকৃতকার্য হয়েছে। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) আমরা ফলাফল হাতে পেয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠবে এবং পরবর্তীতে পুনরায় ওই বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে।