গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ: গত ১০ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ শনিবার আনুমানিক দুপুর ৩ ঘটিকায় ভিকটিম সাইফুল ইসলাম (১৭) নিজ বাড়ির পাশে সুপারি গাছ কাটতে গেলে একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে তাসলিমা (২৬) বাঁধা দেয়। এ বাঁধাকে কেন্দ্র করে একই দিন রাত ৭:৩০ মিনিটে কথার কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের সাথে বড় ধরনের ঝগড়ায় লিপ্ত হয়।
এ ঝগড়ার ঘটনায় ভিকটিম সাইফুল ইসলাম এর পরিবারের উপর প্রতিপক্ষ দলবদ্ধ হয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দা’ লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকটিম সাইফুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। টানা ০৫ দিন ভিকটিম সাইফুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে। অবশেষে গত কাল ১৫ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার সকাল ০৯ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে।
জানা গেছে, নিহত ভিকটিম সাইফুল ইসলাম (১৭) ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৬নং ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের চর লক্ষীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ জাকারিয়া (৪৫) এর ছেলে। তাঁর মায়ের নাম রহিমা খাতুন। নিহত সাইফুলের পিতা একজন কৃষক। নিহত সাইফুল চর ঈশ্বরদিয়ার সিটির মোড়ের একটু দক্ষিণ দিকে ময়মনসিংহ সেন্টাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। নিহত সাইফুল ইসলাম এর তিন ভাই, এক বোন।
এ ঘটনায় গত ১৪ জুলাই ২০২১ খ্রিঃ বুধবার নিহত ভিকটিম সাইফুল ইসলাম এর “মা” রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় মারামারিতে আহত উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন।
ভিকটিম এর মা রহিমা খাতুন বাংলাদেশ তৃণমূল সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি এর সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে নিহত সাইফুল কে ১. নজরুল ইসলাম (৪৫) ২. মোঃ তানভীর (১৭) পিতাঃ নজরুল ইসলাম, একটি রড দিয়ে মাথায়, হাতে, পায়ে আঘাত করে, ৩. মোঃ লিটন (১৯), পিতা ফয়জুল হক, ৪. সব্বির হোসেন শাকিল (১৮), পিতাঃ আলাল উদ্দিন (৪০) , ৫. জামাল (৩৮), ৬. রবিউল হাসান কায়ুম (২১) এরা ছাড়াও আরো কিছু অজ্ঞাত লোকজন দা, রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়।
তিনি আরও বলেন হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পর আপনাদের বিস্তারিত জানবো। বাবা আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। এদিকে নিহত সাইফুল এর আত্মীয় স্বজনদের দাবী হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হউক। যাতে অপরাধীরা এভাবে আর কাউকে মায়ের কুল খালি না করতে পারে।
নিহত সাইফুল এর মায়ের বুকফাটা আর্তনাদে চর লক্ষীপুরের আকাশ ভারী হয়ে যায়। এলাকার আশপাশে শোকের মাতম বয়ে যায়। আশপাশের লোকজন বলছে এটা কি করলো? এই ছেলাটাকে কেন এভাবে মারলো? এর বিচার দাবীও জানান এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার তদন্ত ওসি ফারুক হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, তিনি বলেন, মামলা তদন্ত চলছে, এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করার জন্য অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। এ মামলার আয়ু এসআই খোরশেদ আলম বলেন, মামলা তদন্ত চলছে, আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা চাই।