মো.আককাস আলী,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: গরীব, অসহায় ও হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত বয়স্কভাতা ও বিধবা ভাতার কার্ড প্রকৃত হতদরিদ্ররা না পেয়ে পাচ্ছেন বিত্তশালী লোকজনরা। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের পন্ডিতপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পাকা দোতলা বাড়ি, ১৫ থেকে ২৫ বিঘা জমির মালিকরা বয়স্ক ভাতার তালিকায় এসেছেন।
অন্যদিকে বাদ পড়েছেন অসহায়, হতদরিদ্র ও ভিক্ষুক শ্রেণির লোকজন। এবারের বয়স্ক ভাতার তালিকায় নাম আসা পন্ডিতপুর গ্রামের মৃত শ্রীনাথের পুত্র দিবাকর (৬৬) প্রায় ১৮ বিঘা জমি ও পাকা দোতলা বাড়ির মালিক। একইভাবে প্রায় ২২ বিঘা জমির মালিক ফতেন্দ্রনাথের স্ত্রী প্রমদাসহ আরো কয়েকজন ওই গ্রামে ভাতা ভোগী হয়েছে।
এ বিষয়ে দিবাকরের পুত্র কমল বর্মণ জানান, বয়স্কভাতা দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাইকিং করে ৬৫ বছরের উর্দ্ধে সকল লোকজনের নিকট থেকে আবেদন চাওয়া হয়। এ প্রেক্ষিতে তার বাবার জন্য আবেদন করা হয়েছিলো। ভাতা দিবে কিনা সেটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। চাঁন্দাশ ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদান নবী রিপন জানান, বয়স্ক ভাতা দেয়ার জন্য ৬৫ বছরের উপরের লোকজনের নিকট আবেদন চাওয়া হয়েছিলো।
যাচাই বাছাই করে যাদের ভাতা পাওয়া জরুরী তাদেরকেই আগে দেয়া হবে। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক জানান, বয়স্ক ও বিধবাভাতা হতদরিদ্রদের জন্য। হতদরিদ্ররা না পেয়ে কোনো অবস্থাসম্পন্ন মানুষ যদি পেয়ে থাকেন, তদন্তসাপেক্ষে তা বাতিল করে হতদরিদ্রদেরকেই দেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, এবার উপজেলায় বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন জমা হয়েছে ৬ হাজার ৮৭৮ জন। তাদের মধ্যে ভাতা দেয়া হবে ৫ হাজার ৩৮০ জনকে। বিধবা ভাতার জন্য আবেদন জমা হয় ৭ হাজার ৪১২ জনের। তাদের মধ্যে ভাতা পাবেন ৩ হাজার ৭১০ জনকে।