ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা ভেড়ামারায় মাদক প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালমারীতে ভীমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু  কুষ্টিয়া-১ আসনে মনোনয়ন পেয়ে নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বাচ্চু মোল্লা লক্ষ্মীপুরে তওহীদ ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে ছাত্রদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মান্দায় সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ আর কি দখল মুক্ত হবে? বোয়ালমারী চিতারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ঘোড়াঘাটে হিজড়া থাকলেও ভোটার তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গের ক্যাটাগরি শূন্য নির্বাচন বানচালকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে — অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম বরেন্দ্র অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে আমন ধানসহ শীতকালীন সব্জির ব্যাপক ক্ষতি 

এস আই কামরুজ্জামান যোগদানের পর দৌলতপুরে রমরমা চলছে মাদক ব্যবসা

ছবিঃ এস আই কামরুজ্জামান লিটন।

জিল্লুর রহমান, ডেইলি নিউজ বাংলা ডেক্স: কুৃষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার তেকালা পুলিশ ফাড়িতে ইনচার্জ হিসেবে এস আই কামরুজ্জামান লিটন যোগদানের পরে মাদক ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে রয়েছে। ধর্মদহ, প্রাগপুর, বিলগাথুয়া, জামালপুর সিমান্তে মাদকের অভয়ারণ্য হলেও অদৃশ্য কারনে গত তিন মাসে উল্লেখ যোগ্য কোন মাদক উদ্ধার হয়নি সিমান্তবর্তী এলাকা থেকে।

ধর্মদহ, তেকালা, গরুড়া ও প্রাগপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সচেতন মানুষ দাবি করেন, তেকালা ক্যাম্প ইনচার্জ হিসাবে এস আই কামরুজ্জামান লিটনের যোগদানের পরে তেমন উল্লেখ যোগ্য মাদক উদ্ধার হয়নি বরং মাদক ব্যাবসা বেড়েছে অভয়ারণ্য খ্যাত সীমান্ত এলাকাতে।

তবে প্রশ্ন থেকে যায়? তাহলে কি মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে এলাকাবাসী জানান, আগের থেকে মাদকের ব্যবসা অনেক বেশী রমরমা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে গাজা, মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবা আমরা তেকালা ক্যাম্প পুলিশকে মাদকের চালানের তথ্য দিলে আমাদের মাদক ধরে দিতে বলে পুলিশ।

বিগত সময়ে দেখেছি যারা মাদকের ব্যবসা করতো তারা প্রশাসনের চাপে কখন ও এলাকাতে আসতে পারতোনা, কিন্তু বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ীরা ওপেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাদকের ব্যবসা চালাচ্ছে। এস আই লিটন যোগদানের পরে মাদক ব্যবসায়ীরা অদৃশ্য কারনে অনেক স্বস্তিতে আছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান গেলে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সুশীল সমাজের একাধিক মানুষ জানান, সিমান্ত এলাকায়, মন্টু (৩২) পিতা, মৃত নাজির উদ্দীন, লালন ৩২- পিতা মৃত শুকুর, লিটন (৩৫) পিতা ছফের, স্বাধীন (১৮) পিতা হামেদ, স্বাধন (১৮) পিতা মুর্শেদ সর্ব সাং ধর্মদহ গান্ধীপাড়া, রাব্বি (২৮) পিতা ইস্রাফিল , রবিউল (৩৮) মৃত সুজান, জাহাঙ্গির (৩০) পিতা রাজ্জাক, আলী ফকির (৪২) পিতা মৃত কাইমদ্দিন, ধর্মদহ পঃপাড়া।

ফারুক ল্যাংড়া (৪০) পিতা রুস্তম ফকির, আকরাম (৪০) পিতা মৃত আফ্ফান, শিপন (৩২) পিতা বিল্লাল মিস্ত্রী পুর্বপাড়া’রা এখন বড় মাপের মাদক ব্যবসায়ী। ধর্মদহ গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী জাহিদ, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক টাকা উত্তোলন করে ধর্মদহ গ্রামের মৃত ওয়াজেদের ছেলে মুকুলের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে পৌছাচ্ছে টাকা সেই কারনে অনেকটা মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে।

এ বিষয়ে এস আই লিটনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে, মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে পরে কথা হবে বলে ফোন কল কেটে দেন।
দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম জাবীদ হাসান জানান, আমি সদ্য যোগদান করেছি,যোগদান করেই নির্বাচনী কাজে ব্যাস্ত ছিলাম । এখন মাদকের বিষয়টি জোর দিয়ে দেখা হবে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

এস আই কামরুজ্জামান যোগদানের পর দৌলতপুরে রমরমা চলছে মাদক ব্যবসা

আপডেট টাইম : ০৫:০৮:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

জিল্লুর রহমান, ডেইলি নিউজ বাংলা ডেক্স: কুৃষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার তেকালা পুলিশ ফাড়িতে ইনচার্জ হিসেবে এস আই কামরুজ্জামান লিটন যোগদানের পরে মাদক ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে রয়েছে। ধর্মদহ, প্রাগপুর, বিলগাথুয়া, জামালপুর সিমান্তে মাদকের অভয়ারণ্য হলেও অদৃশ্য কারনে গত তিন মাসে উল্লেখ যোগ্য কোন মাদক উদ্ধার হয়নি সিমান্তবর্তী এলাকা থেকে।

ধর্মদহ, তেকালা, গরুড়া ও প্রাগপুর এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সচেতন মানুষ দাবি করেন, তেকালা ক্যাম্প ইনচার্জ হিসাবে এস আই কামরুজ্জামান লিটনের যোগদানের পরে তেমন উল্লেখ যোগ্য মাদক উদ্ধার হয়নি বরং মাদক ব্যাবসা বেড়েছে অভয়ারণ্য খ্যাত সীমান্ত এলাকাতে।

তবে প্রশ্ন থেকে যায়? তাহলে কি মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে এলাকাবাসী জানান, আগের থেকে মাদকের ব্যবসা অনেক বেশী রমরমা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে গাজা, মদ, ফেনসিডিল, ইয়াবা আমরা তেকালা ক্যাম্প পুলিশকে মাদকের চালানের তথ্য দিলে আমাদের মাদক ধরে দিতে বলে পুলিশ।

বিগত সময়ে দেখেছি যারা মাদকের ব্যবসা করতো তারা প্রশাসনের চাপে কখন ও এলাকাতে আসতে পারতোনা, কিন্তু বর্তমানে মাদক ব্যবসায়ীরা ওপেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাদকের ব্যবসা চালাচ্ছে। এস আই লিটন যোগদানের পরে মাদক ব্যবসায়ীরা অদৃশ্য কারনে অনেক স্বস্তিতে আছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান গেলে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সুশীল সমাজের একাধিক মানুষ জানান, সিমান্ত এলাকায়, মন্টু (৩২) পিতা, মৃত নাজির উদ্দীন, লালন ৩২- পিতা মৃত শুকুর, লিটন (৩৫) পিতা ছফের, স্বাধীন (১৮) পিতা হামেদ, স্বাধন (১৮) পিতা মুর্শেদ সর্ব সাং ধর্মদহ গান্ধীপাড়া, রাব্বি (২৮) পিতা ইস্রাফিল , রবিউল (৩৮) মৃত সুজান, জাহাঙ্গির (৩০) পিতা রাজ্জাক, আলী ফকির (৪২) পিতা মৃত কাইমদ্দিন, ধর্মদহ পঃপাড়া।

ফারুক ল্যাংড়া (৪০) পিতা রুস্তম ফকির, আকরাম (৪০) পিতা মৃত আফ্ফান, শিপন (৩২) পিতা বিল্লাল মিস্ত্রী পুর্বপাড়া’রা এখন বড় মাপের মাদক ব্যবসায়ী। ধর্মদহ গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী জাহিদ, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক টাকা উত্তোলন করে ধর্মদহ গ্রামের মৃত ওয়াজেদের ছেলে মুকুলের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে পৌছাচ্ছে টাকা সেই কারনে অনেকটা মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে।

এ বিষয়ে এস আই লিটনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে, মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত প্রশ্ন করলে পরে কথা হবে বলে ফোন কল কেটে দেন।
দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম জাবীদ হাসান জানান, আমি সদ্য যোগদান করেছি,যোগদান করেই নির্বাচনী কাজে ব্যাস্ত ছিলাম । এখন মাদকের বিষয়টি জোর দিয়ে দেখা হবে।