ডেইলি নিউজ বাংলা ডেক্স: বাংলাদেশের আবহাওয়া এবং জলবায়ু তুলা চাষের জন্য উপযোগী এবং ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড়ের জন্য প্রয়োজনীয় তুলা এ দেশেই চাষ হতো বলে কথিত আছে। সাম্প্রতিককালে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের তুলাচাষ প্রবর্তনের ফলে তুলার ফলন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সেই সঙ্গে তুলার বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীদের তুলা এখন একটি লাভজনক ফসল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। বর্তমানে তুলা উন্নয়ন বোর্ড তুলা গবেষণা, এর সম্প্রসারণ, বীজ উৎপাদন ও বিতরণ, প্রশিক্ষণ, বাজারজাতকরণ ও জিনিং প্রভৃতি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ড অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে চাষিদের সঙ্গে নিয়ে তুলা উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং দিন দিন এর সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে চলেছে।
বাংলাদেশে বর্তমানে যত অর্থকরী ফসল রয়েছে লাভের দিক দিয়ে তুলা অন্যতম। দৌলতপুর উপজেলায় এক সময় ব্যাপকভাবে হতো তামাকের চাষ। ফলে তামাকের জনপদ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলো একসময় এই উপজেলা। তবে দিন বদলে গেছে। উপজেলার ১৪ ইউপির বিভিন্নস্থানে তামাকের জায়গায় ব্যাপক হারে হচ্ছে তুলার চাষ। উপজেলার বিভিন্ন ইউ,পি-তে এখন তুলার সমারোহ। এতে আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন চাষীরা।
তুলা চাষ বাড়াতে চাষীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি উন্নত জাতের বীজ ন্যায্যমুল্যে সরবরাহ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে। তামাক ছেড়ে তুলা চাষে আগ্রহ বাড়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক বলছেন কর্মকর্তারা। এবারে উপজেলার নিভিন্ন ইউ,পি-তে ব্যাপকভাবে বেড়েছে তুলার চাষ। তামাক এখন অ-লাভজনক ফসল, পরিশ্রমও বেশি এবং উৎপাদনে অনেক ব্যায় ভেবে কৃষকরা এবছর, গত বছরের তুলনায় তুলা চাষে ঝুকেছে।
হাইব্রিড জাতের রুপালি-১, হোয়াইট গোল্ড-১, হোয়াইট গোল্ড-২ তুলার বিজ উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় বিঘা প্রতি ২০-২২ মন উৎপাদনের আশা দৌলতপুরের অনেক তুলা চাষীদের। মিল মালিকরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবছরে চড়া দামে তুলা ক্রয় করা হচ্ছে এ বছরে প্রতি মন তুলা তিন হাজার চার শত টাকা করে ক্রয় করছি তবে শুকনা তুলা ছাড়া ভেজা ও গুটি যুক্ত তুলা ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
দৌলতপুর উপজেলা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, এবছর দৌলতপুর উপজেলায় ২০৬০ হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে। হাইব্রিড জাতের উচ্চ ফলনশীল তুলা চাষে আগ্রহী কৃষকরা ন্যায্য দামেও সন্তুষ্ট যার কারনে গত বছরের তুলনায় এ বছরে বেড়েছে তুলা চাষীর সংখ্যা ।