নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দৌলতপুরে ধর্মদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্বীকৃতি নবায়ন ও নিয়মিত কমিটি জটিলতায় শিক্ষকদের বেতন ভাতা ৪ মাস বন্ধ বলে জানা গেছে। ২০০২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হলেও এ যাবৎ পর্যন্ত উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এই বিদ্যালয়ে। স্বীকৃতি নবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের স্বীকৃতি নবায়নের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বোর্ডের শর্ত পূরণ না করায় স্বীকৃতি স্থগিত হয়ে যায়। এর পর থেকে বোর্ডের স্বীকৃতি ছাড়াই (১৩) তের বছর বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে।
২০০২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হলেও অদ্যবদি এখনোও পর্যন্ত প্রায় ১ যুগ এডহক কমিটি দ্বারা বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সালে এডহক কমিটিরও মেয়াদ শেষ, বিদ্যালয়ে স্বীকৃতি নবায়ন না থাকায় কমিটি করতে পারেনি প্রধান শিক্ষক।
দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটি থাকার কোন নিয়ম আছে কিনা এ ব্যাপারে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুস্তম আলী-কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন-না থাকতে পারেনা বলে জানান, বর্তমানে একটি মামলা আছে যার কারনে নিয়মিত কোন কমিটি হচ্ছেনা।
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকাল হতে এ পর্যন্ত সকল সরকারী অনুদান সে নিজে আত্বসাৎ করে আসছে। তার দুর্নিতির কারনেই এ যাবৎ পর্যন্ত উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এই বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়টি কোনদিনই সঠিক ভাবে পরিচালনা করেনি প্রতিষ্ঠান প্রধান। অধিকাংশ দিনই প্রধান শিক্ষক মোঃ রুস্তম আলী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে। যার কারনে সাধারন শিক্ষকরাও নিদৃষ্ট সময়ে স্কুলে আসেনা বলে জানান শুশিল সমাজের ব্যাক্তিরা। ঐ স্কুলের শিক্ষকরা জানান দীর্ঘ চার মাস যাবৎ আমাদের বেতন ভাতা বন্ধ আছে, বিদ্যালয়ে স্বীকৃতি নবায়ন ও নিয়মিত কমিটি জটিলতায়।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সরদার মোঃ আবু সালেক বলেন, শুধু নিয়মিত কমিটিই না ঔ বিদ্যালয়ে স্বীকৃতি নবায়ন নাই ২০০৯ সালের পর থেকে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সালে এডহক কমিটিরও মেয়াদ শেষ। মামলার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন প্রধান শিক্ষক রুস্তম আলী প্রচুর মিথ্যার অশ্রয় নেয়, আমার নামে মামলা করেছিলো যার রায় আমার পক্ষে এসেছে। এখন কোন মামলা নাই। স্বীকৃতিবিহীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অনুমতি ও বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার বিধান না থাকলেও মানবিক দিক বিবেচনায় ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।