ফরিদ আহমেদঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বি.সি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্য, অনিয়ম দূর্নীতি ও অবৈধ ম্যানেজিং কমিটি’র অভিযোগ উঠে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে খবর প্রকাশ হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি অবৈধ মর্মে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। তারপরেও বিসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি’র যোগসাজসে ফের নিয়োগ পরিক্ষার জন্য ২২ মার্চ ২০২৩ তারিখ ঘোষনা করেছে বলে বিসিকে এলাকাবাসী অভিযোগ তুলেছে। নিয়োগ পরিক্ষার বিষয়টি’কে কেন্দ্র করে উক্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অফিস সহায়ক পদের একজন প্রর্থী মোঃ ফয়সাল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, গত ১৭ ফেব্রæয়ারী নিয়োগ পরিক্ষার জন্য তারিখ ঘোষনা করলে ম্যানেজিং কমিটি অবৈধ মর্মে আদালতে মামলা করলে সেই নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ফের ডিও অফিসের সাথে গোপনে আতাত করে নিয়োগ পরিক্ষার জন্য ২২ মার্চ তারিখ ঘোষনা করেন। অনেক পরিক্ষার্থীরা চান আদালতে চলমান মামলা নিস্পত্তি করে নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়া হোক।
স্থানীয় এলাকবাসী’র অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, দৌলতপুর উপজেলার বি.সি.কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রতি ৪টি সৃষ্ট পদে গত ২৫মে ২০২২ সাল তারিখে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় ম্যানিজিং কমিটি। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর চারটি পদে সর্বমোট ২৮জন আবেদন করে। কিন্তু ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি আফাজ উদ্দিন মাষ্টার কোন প্রকার নিয়ম নীতি না মেনে, নিজের পছন্দ মত লোকবল নিয়োগ দেওয়ার জন্য নির্বাচিত সদস্যদের সাথে খোলামেলা আলাপ আলোচনা না করে, নির্বাচিত সদস্যের স্বাক্ষর না নিয়ে ১লা জানুয়ারী ২০২৩ সাল তারিখে নিয়োগ কমিটি গঠন করেছেন।
এলাকাবাসীরা আরো জানায়, উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি আফাজ উদ্দিন মাষ্টার মঈনুদ্দিন বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হয়ে কিভাবে অন্য আরেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি হয়? অবৈধ পন্থায় ম্যানেজিং কমিটি’র সভাপতি মর্মে আদালতে মামলা চলমান থাকাবস্থায় কিভাবে নিয়োগ পরিক্ষার তারিখ ঘোষনা করে? এবং সেই নিয়োগ পরিক্ষা নিজ উপজেলায় না নিয়ে জেলাতে কেন নেওয়া হবে? সে প্রশ্নও তুলেছেন এলাবাসী।
এদিকে উক্ত বিসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি অবৈধ মর্মে দু’টি মামলা চলমান রয়েছে যার মামলা নং-৩১৩/২২ এবং ২৮১/২২।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সালেক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগ পরিক্ষা কিংবা নিয়োগ পরিক্ষার তারিখ ঘোষনার ব্যাপারে আমার কোন হাত নেই আমি একজন সদস্য মাত্র এটা জেলা শিক্ষা অফিসারের নিয়ন্ত্রনে থাকে বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলীকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।