1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
টকার বিনিময়ে যুবলীগ কর্মীকে নাশটকারকতার মামলা দিলো পুলিশ - dailynewsbangla
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

টকার বিনিময়ে যুবলীগ কর্মীকে নাশটকারকতার মামলা দিলো পুলিশ

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

টাকার বিনিময়ে যুবলীগ কর্মীকে নাশকতার মামলা দিলো পুলিশ

রাজশাহী ব্যুরো: টকাররাজশাহীতে নবজাতক চুরি ঘটনায় মোটা অংকের উৎকোচ নেওয়ার পর এবার অর্থের বিনিময়ে দুই যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিলেন রাজপাড়া থানা পুলিশ।

গত ২২ মে (সোমবার) রাজপাড়া থানায় বিএনপি-জামাতের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতা মামলা করেন এস আই জলিল। সেই মামলায় দুই যুবলীগ কর্মীর নাম ঢুকানো হয়েছে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, নাশকতা ঐ  মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের নামে মামলা হয়। মামলায় ৯ নং আসামী দাশপুকুর এলাকার আবু’র ছেলে যুবলীগ কর্মী হেলাল ও ১০ নং আসামী কাজীহাটা এলাকার মুর্তজা’র ছেলে লালনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ভুক্তভোগী ঐ দুই যুবলীগ কর্মী বলেন, নৌকার পক্ষে আমরা গণসংযোগ করছিলাম। এতে কাউন্সিলর প্রার্থীরা আমাদেরকে তাদের পক্ষে কাজ করার জন্য বলেন। আমরা নৌকার ছাড়া অন্য কারো কাজ করবো না মর্মে সাফ জানিয়ে দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঐ প্রার্থীরা নাশকতা মামলায় আমাদের নাম ঢুকিয়ে দেয়। নাম ঢুকাতে বড় রকমের অর্থের লেনদেন হয়েছে বলেও জানান তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, থানা এলাকার কয়েকজনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন ওসির দ্বায়িত্ব পালনকারী এস আই কাজল নন্দি। তাঁরা এও বলেন, দুই ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলর প্রার্থীর নিকট মোটা অংকের টাকা নিয়ে ওয়ার্ড যুবলীগ কর্মীর নাম ঢুকানো হয়েছে।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী বলেন, আমি অবাক হয়েছি ওয়ার্ড যুবলীগের দুই কর্মীর নাম নাশকতা মামলায় ঢুকানো হয়েছে। তারা আমাদের একনিষ্ঠ কর্মী। একসাথে নৌকার গণসংযোগ করছি। কি কারণে তাদের নাম নাশকতা মামলায় দেওয়া হয়েছে তা আমরা দেখছি। বিষয়টি আমরা আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ভাইকে জানিয়েছি।
জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার ওসি’র দ্বায়িত্ব পালনকারী এস আই কাজল নন্দি’কে বার বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে আরএমপি পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, মামলা যে কারো বিরুদ্ধে হতে পারে। সে যদি নির্পোরাধ হয় তাহলে সে মামলা থেকে মুক্তি পাবে। পুলিশের সন্দেহ হয়েছে বলে তাদেরকে এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে তাদের নাম এজাহারভুক্ত করা হয়েছে এমন অভিযোগকে অস্বিকার করে বলেন, এটা মিথ্যা বলা হচ্ছে। একটা মামলার প্রতিবেদন পাঠাতে হলে, ওসি, এসি, এডিসি, ডিসিকে অবগত করতে হয়। যদি সে ভাল হয় তাহলে চার্জশিট থেকে নাম বাদ যাবে। তবে মিডিয়া মুখ্যপাত্রের এমন বক্তব্যে প্রশ্ন থেকে যায়, এজাহার ভুক্ত আসামীকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে বা আগে মামলায় জামিন নিতে হবে। তাহলে এই হয়রানির দায়ভার কে নেবে?

উল্লেখ্য, সম্প্রতি রয়েল হাসপাতালে নবজাতক চুরি’র ঘটনায় কয়েক দফায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গোপন বৈঠক করে মোটা অংকের উৎকোচ নেয় এস আই কাজল নন্দি। যা ইতোপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ