1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
জিরা চাষে রাণীনগরের কৃষক জহুরুলের সাফল্য  - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দৌলতপুর থানার ওসি ক্লোজ বই পড়ুয়ারা কখনো বিপথে যেতে পারে না—কবি মোহাম্মদ আককাস আলী  বগুড়ায় কুমড়ো বড়ি তৈরির ধুম কয়েক কোটি টাকায় বিক্রির সম্ভাবনা  দৌলতপুর সীমান্তে পৃথক অভিযানে ভারতীয় কোকেন ও মহিষ উদ্ধার! মহাদেবপুরে যমজ এক বোনের মৃত্যু কথা শুনে অপর বোনের মৃত্যু  বগুড়া জেলার সাম্প্রতিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত অসাধু ব্যবসায়ীদের দখলে আলুর বাজার সরকারের উদ্যোগ নিয়ন্ত্রণে আসছে না বগুড়ায় নিখোঁজ শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার  এ্যাডভোকেটস বার সমিতির নির্বাচন ২০২৫ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মনোনীত প্যানেলের সব প্রার্থীদের জয় লাভ      বোয়ালমারীতে ছাগলের পিপিআর টিকা কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ

জিরা চাষে রাণীনগরের কৃষক জহুরুলের সাফল্য 

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

জিরা চাষে রাণীনগরের কৃষক জহুরুলের সাফল্য 

মোহাম্মদ আককাস আলী : জিরা চাষে রাণীনগর উপজেলার শিয়ালা গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলামের সাফল্য দেখে অন্য কৃষকদেরও আগ্রহ বেড়েছে। জহুরুল ইসলামের জিরা চাষ দিকে এলাকায় বেশ ছাড়া পরেছে। কৃষক জহুরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে থাকেন। বাজারে জিরার দাম বেশি হওযায় তিনি জিরা চাষে উদ্বুদ্ধ হন। এরপর অনলাইনে এর চাষাবাদ প্রদ্ধতি দেখতে শুরু করেন। অনেক চেষ্টা করে অনলাইনে মাধ্যমে ভারত থেকে প্রায় ১ হাজার টাকা খরচ করে ৫০০ গ্রাম জিরা বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ৯ শতক জমিতে এই জিরা বীজ রোপণ করেন। বর্তমানে জহুরুলের জিরা গাছে ফুল ও জিরা আসতে শুরু করেছে। তিনি পরীক্ষামূলক জিরা চাষে অনেকটা সফল হওযায় স্থানীয় কৃষদের মধ্যেও জিরা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন,প্রথমে বীজ সংগ্রহের পর পানিতে ৩০টি জিরা বীজ ভিজে টিস্যুর মধ্যে রেখে পরীক্ষা করি, কি পরিমান গাছ গজাবে। পরে ৩০টির মধ্যে ২৫টি গাছ উঠে গেছে। তখন ৯ শতক জমি হালচাষ ও সার ছিটিয়ে বীজ রোপন করি। বীজ রোপনের ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে জিরা গাছ উঠতে শুরু করে। পরে বৃষ্টির কারনে কিছু গাছ নষ্ট হয়ে যায়। বাকি গাছগুলো ভালো করে যত্ন নেয়া শুরু করি।
তিনি আরও বলেন,যেভাবে সরিষার চাষ করা হয় একই রকমভাবে জিরা চাষ করেছি। এরইমধ্যে গাছে ফুল ও জিরা ধরতে শুরু করেছে। গাছে যতগুলো ফুল ততগুলোই জিরা ধরছে। হিসেব করে দেখছি যেভাবে জিরা ধরছে তাতে ৯ শতক জমি থেকে ২০ থেকে ২২ কেজি জিরা পাওয়া যাবে। বাজারে জিরার দাম ভালো থাকায় যার বাজার মূল্যে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। তাতে জিরা চাষ একটি লাভজনক ফসল মনে হয়েছে। তবে জিরা চাষ শীতকালে ভালো হয়। বীজ বপণের ৩ থেকে সাড়ে তিন মাস সময় লাগে জিরা ঘরে উঠতে। এবছর পরীক্ষামূলকভাবে জিরা চাষ সফল দাবি করে আগামীতে আরও বড় পরিসরে জিরা চাষাবাদের পরিকল্পনা করছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক বলেন,জহুরুল ইসলাম উদ্যোগী একজন কৃষক। তিনি নতুন ফসল হিসেবে জিরা পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করেছেন। তার জিরা চাষ কৃষি বিভাগ সার্বক্ষনিক নজরে রেখেছে। আমরা শেষ পর্যন্ত এটার ফলন কেমন হয় সেটা দেখবো। তিনি জিরা চাষে সফল হলে উঠান বৈঠক, সভা, সেমিনার করে অন্য কৃষকদের জিরা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
তিনি আরও বলেন- দেশে যে পরিমাণ জিরার চাহিদা তার পুরোটাই আমদানি করতে হয়। জিরা মসলা এখনও বাংলাদেশ আমদানি নির্ভর। তাই এই জিরা চাষে সফল হলে কৃষিতে বানিজ্যকরন ও জিরা উৎপাদন করে আমদানির পরিমাণ কমানো সম্ভব বলে মনে করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ