রাজশাহী ব্যুরো: চলমান শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজশাহীতেও সকাল থেকে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়ে গুরুত্বর আহত হন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দ্বায়িত্বে থাকা সিটিএসবি’র এক সদস্য। সিটিএসবি ঐ সদস্যের নাম মো: সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও পুলিশ বক্স, আওয়ামী লীগের অফিস, ভাংচুর ও পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ভাংচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রুয়েট গেট থেকে বের করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলে অংশ গ্রহন করে নগরীর বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এতে মিছিলটি গণজোয়ারে রূপ নেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেন ‘এক দুই তিন চার, স্বৈরাচার গদি এদিকে শিক্ষার্থীরা শ্লোগান দেন ‘এক দুই তিন চার, স্বৈরাচার তুই গদি ছাড়’ ‘নয় ছয় বুজিনা, কবে যাবি হাসিনা’ ‘আবু সাঈদ মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ এমন স্লোগান দিতে দিতে মিছিলটি তালাইমারি হয়ে নগরীর রেলগেটে এসে সমাবেশ করে। এদিকে রুয়েট গেট থেকে বের করা বিক্ষোভ মিছিল রেলগেটের দিকে আসার পথে নগরীর তালাইমারি মোড়ে ট্রাফবক পুলিশবক্স ভাংচুর করে আন্দোলনকারিরা।
এরপর দেবিশিং পাড়ায় একটি আওয়ামী লীগের অফিস ভাংচুর করা হয়। পরে সেখানে আগুন দেয়া হয়েছে। একই সাথে নগরীর ভদ্রা মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্স ভাংচুর করে বিক্ষোভকারিরা। রেলগেট অবস্থানকালে কিছু শিক্ষার্থীরা রেলগেটে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাংচুর করে। একই সাথে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে অব
রোধ করে রাখা হয় রেল গেটের রাস্তা। প্রায় ঘন্টাব্যাপী শিক্ষার্থীরা রেল গেটে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। এসময় ছাত্রলীগ কর্মী সন্দেহে একজন পিটিয়ে জখম করেছে আন্দোলনকারিরা। আহত ঐ ছেলের নাম অর্নব। সে নগরীর মহিষবাথান এলাকার সেলিমের ছেলে। সূত্র বলছে, অর্নব অনেক আগে পড়াশোনা শেষ করেছে। এসময় একজন আন্দোলনকারি জানান, অর্নব আন্দলনের শুরুতে আমাদের সাথে ছিল, কিন্তু পরে আওয়ামী লীগের নেতার সাথে হাত মিলিয়ে আমাদের বিপক্ষে কাজ করছে। তবে আন্দোলনকারির একটি অংশ সাংবাদিকদের ওপর হামালা চালিয়েছে। আগামীকালের কর্মসূচি পালনের জন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে রেলগেটের সামবেশ শেষ করে দুপুর দুটার দিকে পুনরায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলটি রুয়েটে গেটে ফিরে যায় এবং শেষ হয়। তবে রুয়েট থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে পুলিশের সাথে কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।