ঢাকা ১১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির ভাগ্যের ফয়সালা হবে উপজেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ট্রাস্কফোর্স কমিটির ত্রৈমাসিক  সভা অনুষ্ঠিত মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা ভেড়ামারায় মাদক প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালমারীতে ভীমরুলের কামড়ে শিশুর মৃত্যু  কুষ্টিয়া-১ আসনে মনোনয়ন পেয়ে নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন বাচ্চু মোল্লা লক্ষ্মীপুরে তওহীদ ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে ছাত্রদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মান্দায় সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ আর কি দখল মুক্ত হবে? বোয়ালমারী চিতারবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি ঘোড়াঘাটে হিজড়া থাকলেও ভোটার তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গের ক্যাটাগরি শূন্য

দাম ভালো পাওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলে বেড়েছে গমের চাষ

দাম ভালো পাওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলে বেড়েছে গমের চাষ

মোহাম্মদ আককাস আলী : দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলে গমের চাষ। দাম ভালো পাওয়ায় এবং ফলনে বেশি হওয়ায় গম চাষে ঝুঁকেছে এই অঞ্চলের চাষিরা।
গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে এ জেলায় ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বেশি গম চাষ হয়েছে। এক সময় নওগাঁর উঁচু বরেন্দ্রভূমি এলাকায় প্রচুর গম চাষ হতো।
তবে ভালো দাম না পাওয়ায় ও ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ অঞ্চলে গম চাষ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে সেই অবস্থা থেকে গম চাষিরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। কম খরচ ও দাম ভালো থাকায় গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
কৃষকরা বলছেন, গত বছর গমের ফলন ভালো হয়েছিল।
স্থানীয় বাজারে গমের দামও ভালো ছিল। এ কারণে তারা এবার গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া গম চাষের জন্য এখন পর্যন্ত ভালো আছে। ক্ষেতে রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম।
আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবারও তারা ভালো ফলন পাবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২০২৫ রবি মৌসুমে জেলার ১১টি উপজেলায় ১৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৬ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে জেলায় গমের আবাদ হয়েছিল ১৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর। এই হিসাবে পাঁচ বছরে জেলায় গমের আবাদ বেড়েছে ৩ হাজার ২০০ হেক্টর।
চলতি বছর নওগাঁ সদর উপজেলায় গমের আবাদ হয়েছে ৭৩০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ৩৯০ হেক্টর, রাণীনগরে ৩৩০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৮০০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৩৫০ হেক্টর, মান্দায় এক হাজার ১৫০ হেক্টর, সাপাহারে তিন হাজার ৮৫০ হেক্টর, পোরশায় চার হাজার ৮২০ হেক্টর, নিয়ামতপুরে তিন হাজার ৫০ হেক্টর, পত্নীতলায় ১১শ’ হেক্টর এবং ধামইরহাট উপজেলায় ১২শ’ হেক্টর।
চলতি মৌসুমে নওগাঁর পোরশা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। এরপরই আবাদ হয়েছে সাপাহার উপজেলায় ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর।
সাপাহরের কৃষক আবেদ আলী বলেন, গম চাষে পরিশ্রম আর পরিচর্যা নেই বললেই চলে। বীজ রোপন আর ফসল কেটে ঘরে তোলার ঝামেলা ছাড়া তেমন কিছু করতে হয় না। তবে শুরুর দিকে অল্প সেচ আর মাঝে কিছু সময় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। অন্যান্য ফসল চাষের তুলনায় গম চাষে অনেক সুবিধা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, গম চাষের জন্য পানি কম জমে এমন উঁচু জমি উপযোগী। নওগাঁর পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজেলার অনেক এলাকার জমি বেশ উঁচু। এজন্য এসব এলাকায় জেলার অন্যান্য এলাকার তুলনায় গমের ফলন বেশি হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৫০০ প্রান্তিক কৃষককে প্রতি বিঘা জমির জন্য বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকদের গম চাষে আগ্রহী করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির ভাগ্যের ফয়সালা হবে

দাম ভালো পাওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলে বেড়েছে গমের চাষ

আপডেট টাইম : ০৯:৫০:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

দাম ভালো পাওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চলে বেড়েছে গমের চাষ

মোহাম্মদ আককাস আলী : দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বরেন্দ্র অঞ্চলে গমের চাষ। দাম ভালো পাওয়ায় এবং ফলনে বেশি হওয়ায় গম চাষে ঝুঁকেছে এই অঞ্চলের চাষিরা।
গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে এ জেলায় ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে বেশি গম চাষ হয়েছে। এক সময় নওগাঁর উঁচু বরেন্দ্রভূমি এলাকায় প্রচুর গম চাষ হতো।
তবে ভালো দাম না পাওয়ায় ও ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ অঞ্চলে গম চাষ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে সেই অবস্থা থেকে গম চাষিরা ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। কম খরচ ও দাম ভালো থাকায় গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
কৃষকরা বলছেন, গত বছর গমের ফলন ভালো হয়েছিল।
স্থানীয় বাজারে গমের দামও ভালো ছিল। এ কারণে তারা এবার গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া গম চাষের জন্য এখন পর্যন্ত ভালো আছে। ক্ষেতে রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম।
আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবারও তারা ভালো ফলন পাবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২০২৫ রবি মৌসুমে জেলার ১১টি উপজেলায় ১৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১৬ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে জেলায় গমের আবাদ হয়েছিল ১৪ হাজার ৬৫০ হেক্টর। এই হিসাবে পাঁচ বছরে জেলায় গমের আবাদ বেড়েছে ৩ হাজার ২০০ হেক্টর।
চলতি বছর নওগাঁ সদর উপজেলায় গমের আবাদ হয়েছে ৭৩০ হেক্টর, আত্রাইয়ে ৩৯০ হেক্টর, রাণীনগরে ৩৩০ হেক্টর, বদলগাছীতে ৮০০ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৩৫০ হেক্টর, মান্দায় এক হাজার ১৫০ হেক্টর, সাপাহারে তিন হাজার ৮৫০ হেক্টর, পোরশায় চার হাজার ৮২০ হেক্টর, নিয়ামতপুরে তিন হাজার ৫০ হেক্টর, পত্নীতলায় ১১শ’ হেক্টর এবং ধামইরহাট উপজেলায় ১২শ’ হেক্টর।
চলতি মৌসুমে নওগাঁর পোরশা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে। এরপরই আবাদ হয়েছে সাপাহার উপজেলায় ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর।
সাপাহরের কৃষক আবেদ আলী বলেন, গম চাষে পরিশ্রম আর পরিচর্যা নেই বললেই চলে। বীজ রোপন আর ফসল কেটে ঘরে তোলার ঝামেলা ছাড়া তেমন কিছু করতে হয় না। তবে শুরুর দিকে অল্প সেচ আর মাঝে কিছু সময় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। অন্যান্য ফসল চাষের তুলনায় গম চাষে অনেক সুবিধা রয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, গম চাষের জন্য পানি কম জমে এমন উঁচু জমি উপযোগী। নওগাঁর পোরশা, সাপাহার, নিয়ামতপুর ও পত্নীতলা উপজেলার অনেক এলাকার জমি বেশ উঁচু। এজন্য এসব এলাকায় জেলার অন্যান্য এলাকার তুলনায় গমের ফলন বেশি হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৫০০ প্রান্তিক কৃষককে প্রতি বিঘা জমির জন্য বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকদের গম চাষে আগ্রহী করতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।