ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
ভেড়ামারায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিএনপির লিফলেট বিতরণ ভেড়ামারায় বিএনপি  ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ভেড়ামারা বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদযাপন গোদাগাড়ীতে জোরপূর্বক বাড়ী দখলের চেষ্টা ভেড়ামারায় মা সমাবেশ ও ফ্রি ক্লাসের উদ্ধোধন বোয়ালমারীতে মোটরসাইকেলকে বাসের ধাক্কা  কলেজ শিক্ষার্থী নিহত কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিয়ে বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি, লুটে নেওয়া হয়েছে ৫ লক্ষ টাকার মালামাল দৌলতপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই চারটি বাড়ি, ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি দৌলতপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, স্ত্রী ও সন্তানসহ আহত ৩ দৌলতপুরে শিক্ষক ধর্মঘট, পুলিশ-আমলাদের সন্তানদের পাঠদান না করার ঘোষণা

ফলন ভাল হলেও শীতকালীন সবজি আবাদ করে বিপাকে চাষীরা

রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীতে ফলন ভাল হলেও শীতকালীন সবজি আবাদ করে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। নায্যমুল্য না পাওয়ায় তারা পড়েছেন লোকসানের মুখে । কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জেলায় চলতি রবি মৌসুমে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। আর উৎপান লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন।

এর মধ্যে সদরে ১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে ৩৬ হাজার ৪১০ মেট্রিকটন, সৈয়দপুরে ৫২২ হেক্টরে ১১ হাজার ৪৮৫ মেট্রিকটন, ডোমারে ৯৬৫ হেক্টওে ২১ হাজার ২২৪ মেট্রিকটন, ডিমলায় ৮৩৮ হেক্টরে ১৮হাজরা ৪৪০ মেট্রিকটন, জলঢাকায় ৯৫৫ হেক্টরে ২১ হাজার ৫ মেট্রিকটন এবং কিশোরগঞ্জে ৭১৫ হেক্টরে ১৫ হাজার ৭৩৫ মেট্রিকটন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

সবজির হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১২ টন। কিন্তু ফলন ভালো হলেও বিভিন্ন হাট-বাজারে সবজির বিক্রয় মূল্য নিম্নমুখী। সদর উপজেলার রামগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায় বেগুন ৫ ও মুলা ২ দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি পিছ ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকা করে। স্থানীয় বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা দিয়ে উৎপাদন খরচ অর্ধেক ও না উঠার শংকায় রয়েছেন কৃষকরা। সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের কৃষক আসগর আলী বলেন, এবার সবজি চাষ করে মাথায় হাত দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।

আমি তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা আবাদ করি, যেখানে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা আর বিক্রি করেছি ৩৫ হাজার টাকা। লোকসান গুনতে হয়েছে তিন বিঘায় পনের হাজার টাকা। কিশোরগঞ্জের বাহাগুলী ইউনিয়নের কৃষক বকুল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন বীজ, সার, কীটনাশক, হাল চাষ ও শ্রমিক এসব করেছি ঋণ নিয়ে। এখন কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবো আর কি খাবো বুঝেতে পারছি না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, নীলফামারীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির আবাদও ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম নির্ধারণের বিষয়টি তার নয় বলেন জানান তিনি।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভেড়ামারায় ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিএনপির লিফলেট বিতরণ

ফলন ভাল হলেও শীতকালীন সবজি আবাদ করে বিপাকে চাষীরা

আপডেট টাইম : ০৭:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২০

রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীতে ফলন ভাল হলেও শীতকালীন সবজি আবাদ করে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা। নায্যমুল্য না পাওয়ায় তারা পড়েছেন লোকসানের মুখে । কৃষি বিভাগ জানায়, এ বছর জেলায় চলতি রবি মৌসুমে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। আর উৎপান লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন।

এর মধ্যে সদরে ১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে ৩৬ হাজার ৪১০ মেট্রিকটন, সৈয়দপুরে ৫২২ হেক্টরে ১১ হাজার ৪৮৫ মেট্রিকটন, ডোমারে ৯৬৫ হেক্টওে ২১ হাজার ২২৪ মেট্রিকটন, ডিমলায় ৮৩৮ হেক্টরে ১৮হাজরা ৪৪০ মেট্রিকটন, জলঢাকায় ৯৫৫ হেক্টরে ২১ হাজার ৫ মেট্রিকটন এবং কিশোরগঞ্জে ৭১৫ হেক্টরে ১৫ হাজার ৭৩৫ মেট্রিকটন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

সবজির হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১২ টন। কিন্তু ফলন ভালো হলেও বিভিন্ন হাট-বাজারে সবজির বিক্রয় মূল্য নিম্নমুখী। সদর উপজেলার রামগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায় বেগুন ৫ ও মুলা ২ দুই টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি পিছ ফুলকপি, বাঁধাকপি ও লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৫ টাকা করে। স্থানীয় বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা দিয়ে উৎপাদন খরচ অর্ধেক ও না উঠার শংকায় রয়েছেন কৃষকরা। সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের কৃষক আসগর আলী বলেন, এবার সবজি চাষ করে মাথায় হাত দেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই।

আমি তিন বিঘা জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা আবাদ করি, যেখানে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা আর বিক্রি করেছি ৩৫ হাজার টাকা। লোকসান গুনতে হয়েছে তিন বিঘায় পনের হাজার টাকা। কিশোরগঞ্জের বাহাগুলী ইউনিয়নের কৃষক বকুল হোসেন আক্ষেপ করে বলেন বীজ, সার, কীটনাশক, হাল চাষ ও শ্রমিক এসব করেছি ঋণ নিয়ে। এখন কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবো আর কি খাবো বুঝেতে পারছি না। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, নীলফামারীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির আবাদও ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দাম নির্ধারণের বিষয়টি তার নয় বলেন জানান তিনি।