ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে  বোয়ালমারী রণক্ষেত্র পদ্মার দুর্গম চরাঞ্চলে বিভিন্ন বাহিনীর সক্রিয়তায় বাড়ছে শঙ্কা বদলগাছীতে এক হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী পরিবার স্বেচ্ছায় বিএনপিতে যোগদান  দুই দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নাগরপুরে হত্যার ৬ মাস পর লাশ উত্তোলন  বন্দরে মাদক সম্রাট রমজান, বাবুর বিরুদ্ধে পিতাকে মারধরের অভিযোগ আলফাডাঙ্গায় ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড নাটোরে বৈধবালু ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার কাকন ষড়যন্ত্রের শিকার, বাঘায় বেল্লাল মন্ডলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে উত্তাল অঞ্চল ভেড়ামারায় বিনামূল্যে বীজ সার বিতরণ নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির ভাগ্যের ফয়সালা হবে

কুয়াকাটায় নির্মাণ করা হচ্ছে বালুর ভাস্কর্য

মানচিত্রের ঠিক মাঝখানে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের আকৃতি।

জাতীয় শিশু দিবস ও জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এই প্রথম কুয়াকাটায় নির্মাণ করা হচ্ছে বালুর ভাস্কর্য


সম্ভু সাহা,পটুয়াখালী: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস ও জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে, সাগরকন্যা কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্টের ১০০ গজ পূর্বদিকে প্রায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রশস্ত এ ভাস্কর্যে নির্মান করা হয়েছে। এখানে ১৯৫২ সালের বাঙালির ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি।

১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে নির্মিত এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হবে আগামী ১৭ মার্চ। খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৬জন শিক্ষার্থী গত ৯ মার্চ থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইতোমধ্যে বালু দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলাদেশের মানচিত্র। মানচিত্রের ঠিক মাঝখানে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের আকৃতি।

এক পাশে ভাষা আন্দোলনের মিছিল। অন্য পাশে ৬ দফাসহ মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট। আর ভাস্কর্যের উপরে ও নিচে বালু দিয়ে লেখা হয়েছে, আমার সোনার বাংলা। জয় বাংলা। রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি। আমার মায়ের ভাষা, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। এই প্রথম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে নির্মিত বালুর ভাস্কর্যটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক।

বরিশাল থেকে কুয়াকাটায় আসা পর্যটক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রতি বছর কুয়াকাটায় বেরাতে আসা হয়। এবার এসে দেখলাম সৈকতে বালু দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা খুবই ভালো উদ্দোগ। ধন্যবাদ জানাই পটুয়াখালী পুলিশ সুপারকে। আমি মনেকরি এ থেকে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছুই জানতে পারবে। আর সৈকতে ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীরা এ ভাস্কর্য দেখে আনন্দিত হবে। তবে এ ভাস্কর্যটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা গেলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পর্যটন শিল্পে।

পটুয়াখালী থেকে ভাস্কর্য দেখতে আসা মামুন মুধা বলেন, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আকৃতি, ৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৬৯ এর গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপট ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কুয়াকাটার সৈকতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করায় পর্যটকসহ স্থানীয় শিক্ষার্থীরা দেখে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন, যা নতুন প্রজন্মকে আশাবাদী করবে ও স্বপ্ন দেখাবে।

ভাস্কর্য নির্মাতা দলের প্রধান (রাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী অনুপম কর বলেন, গত ৯ মার্চ মঙ্গলবার থেকে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে এ কাজটি শুরু করেছি। আশা করি, ঠিক সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারব। ভাস্কর্য নির্মাতা দলের সদস্য (খুবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সানি কুমার দাস নিলয় বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে রাজশাহী ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষার্থী অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভাস্কর্য নির্মাণে কাজ করছি।

পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (পিপিএম) বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস ও জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৭ মার্চ এ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হবে। ২৬ মার্চ পর্যন্ত কুয়াকাটায় পর্যটকসহ স্থানীয়দের জন্য এটি উন্মুক্ত রাখা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে  বোয়ালমারী রণক্ষেত্র

কুয়াকাটায় নির্মাণ করা হচ্ছে বালুর ভাস্কর্য

আপডেট টাইম : ০৬:৫৭:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১

জাতীয় শিশু দিবস ও জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এই প্রথম কুয়াকাটায় নির্মাণ করা হচ্ছে বালুর ভাস্কর্য


সম্ভু সাহা,পটুয়াখালী: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস ও জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে, সাগরকন্যা কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্টের ১০০ গজ পূর্বদিকে প্রায় ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রশস্ত এ ভাস্কর্যে নির্মান করা হয়েছে। এখানে ১৯৫২ সালের বাঙালির ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি।

১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। পটুয়াখালী জেলা পুলিশের উদ্যোগে নির্মিত এ ভাস্কর্য উদ্বোধন করা হবে আগামী ১৭ মার্চ। খুলনা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৬জন শিক্ষার্থী গত ৯ মার্চ থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইতোমধ্যে বালু দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলাদেশের মানচিত্র। মানচিত্রের ঠিক মাঝখানে জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের আকৃতি।

এক পাশে ভাষা আন্দোলনের মিছিল। অন্য পাশে ৬ দফাসহ মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট। আর ভাস্কর্যের উপরে ও নিচে বালু দিয়ে লেখা হয়েছে, আমার সোনার বাংলা। জয় বাংলা। রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি। আমার মায়ের ভাষা, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। এই প্রথম কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে নির্মিত বালুর ভাস্কর্যটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক।

বরিশাল থেকে কুয়াকাটায় আসা পর্যটক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রতি বছর কুয়াকাটায় বেরাতে আসা হয়। এবার এসে দেখলাম সৈকতে বালু দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা খুবই ভালো উদ্দোগ। ধন্যবাদ জানাই পটুয়াখালী পুলিশ সুপারকে। আমি মনেকরি এ থেকে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছুই জানতে পারবে। আর সৈকতে ভ্রমণে আসা দর্শনার্থীরা এ ভাস্কর্য দেখে আনন্দিত হবে। তবে এ ভাস্কর্যটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা গেলে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পর্যটন শিল্পে।

পটুয়াখালী থেকে ভাস্কর্য দেখতে আসা মামুন মুধা বলেন, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আকৃতি, ৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৬৯ এর গণআন্দোলনের প্রেক্ষাপট ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কুয়াকাটার সৈকতে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করায় পর্যটকসহ স্থানীয় শিক্ষার্থীরা দেখে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন, যা নতুন প্রজন্মকে আশাবাদী করবে ও স্বপ্ন দেখাবে।

ভাস্কর্য নির্মাতা দলের প্রধান (রাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী অনুপম কর বলেন, গত ৯ মার্চ মঙ্গলবার থেকে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে এ কাজটি শুরু করেছি। আশা করি, ঠিক সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারব। ভাস্কর্য নির্মাতা দলের সদস্য (খুবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সানি কুমার দাস নিলয় বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে রাজশাহী ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষার্থী অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভাস্কর্য নির্মাণে কাজ করছি।

পটুয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (পিপিএম) বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, জাতীয় শিশু দিবস ও জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ১৭ মার্চ এ ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হবে। ২৬ মার্চ পর্যন্ত কুয়াকাটায় পর্যটকসহ স্থানীয়দের জন্য এটি উন্মুক্ত রাখা হবে।