1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
মালয়েশিয়ায় সংগ্রামী নাসিরের গল্প - dailynewsbangla
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বোয়ালমারীতে ১ কেজি গাঁজাসহ মাদককারবারী আটক বোয়ালমারীর দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ শিমুল ডাকাতকে ঢাকা জেলা থেকে গ্রেপ্তার রাণীনগরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১ রাজশাহীতে এক মাদক ব্যবসায়ীর অর্থদন্ডসহ যাবজ্জীবন কারাদন্ড বোয়ালমারীতে স্ত্রীর বিষ খেয়ে মরার ১৯ বছর পর স্বামীর আত্মহত্যা ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয়  শিশু দিবসে আওয়ামীলীগ বিভক্ত পৃথক কর্মসূচি পালন দশমিনা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু  ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উদযাপন  বোয়ালমারীতে ৪৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ২ আয়োজনবিহীন মামুন কবিরাজের জন্মদিন

মালয়েশিয়ায় সংগ্রামী নাসিরের গল্প

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৭
ফাইল ছবি

মালয়েশিয়ার সুরিয়া কেএলসিসি (টুইন টাওয়ার)। কুয়ালালামপুরের এ টাওয়ারটি দেখতে সারা বিশ্বের পর্যটকদের ভিড় জমে প্রতিদিন। শনিবার বিকেলে কাজের ফাঁকে টুইন টাওয়ারের নিচে ফোয়ারার পাশে চিনুজ অন দ্য পার্ক রেস্তোরাঁয় বসে বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলেন এই প্রতিবেদক।

মিনিট দশেক পরই হাস্যোজ্জ্বল একজন ওয়েটার সামনে হাজির। কী খাবেন স্যার? এক কাপ কফির অর্ডার নিয়ে তিনি চলে গেলেন।

কিছুক্ষণ পরই ফিরে এসে বললেন, আপনি কি বাংলাদেশি? এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে ‘হ্যাঁ’ জবাব পেয়ে জানালেন তিনিও বাংলাদেশি। বাড়ি তার ঝালকাঠি সদরে। নাম মো. নাসির খান।

 

নিজের পরিচয়ে নিজেই জানালেন প্রবাসে ১০ বছরের সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস। জানালেন, তার বাবা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। দু’ভাইয়ের মধ্যে তিনিই বড়।

২০০৮ সালে ষ্টুডেন্ট ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসার পর থেকেই আর্থিক স্বচ্ছলতা ও শান্তির খোঁজে প্রবাসে জীবন যুদ্ধের মুখোমুখি নাসির। ২০১০ সালে ভিসা পরিবর্তন করে টুইন টাওয়ারে চাইনিজ মালয়েশিয়ান তেং-এর রেস্তেরাঁয় চিনুজ অন দ্য পার্কেই কাজ করছেন ১০ বছর ধরে। মাসে বাংলাদেশি টাকায় ৫০ হাজারের মতো বেতন তার। সব মিলিয়ে দিন এখন ভালোই যাচ্ছে তার।

কেমন আছেন মালয়েশিয়ায়- এমন প্রশ্নে নাসির বলেন, সকল প্রশংসা সৃষ্টিকর্তার। নয় তো আমার মতো একজন ক্ষুদ্র ‘ওয়েটার’ আজকে বিদেশে কাজ করে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে। এর চেয়ে বেশি কি আশা করতে পারি?

 

নাসির যে রেস্তোরাঁটিতে কাজ করছেন সেখানে বিদেশি ক্রেতাই বেশি। তাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় এবং সমাদৃত এ রেস্তোরাঁটি। বাংলাদেশি হিসেবেও বেশ নাম অর্জন করেছেন এই পেশায়। অর্থ সংকটও দূর হয়েছে তার।

আলাপে প্রকাশ পেল-বাবা-মায়ের প্রতি অগাত শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রয়েছে নাসিরের। রয়েছে কৃতজ্ঞতাও। সর্বদাই বাবা-মায়ের খোঁজ রাখেন।

দেশ প্রসঙ্গে নাসির বললেন, মন সব সময় দেশেই পড়ে থাকে। বারবার বাড়ির খোঁজ খবর নেয়া লাগে।

বিদায়ের সময় আবার আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বললেন, ‘বাংলাদেশিদের দেখলে আত্মা শান্তি পায়।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ