রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বিদিরপুর বাজারে তিনটি দোকানের সাঁটার ও তালা ভেঙে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাতে বিদিরপুর বাজারের খোকন টেলিকম, হ্যালো বিদিরপুর ও ইলেকট্রনিক্স ও শাহিন ষ্টোর ( মুদিখানা ) দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি দোকানের তালা ভাংগা ও সাঁটার বাঁকানো রয়েছে। এই চুরির বিষয়ে “হ্যালো বিদিরপুর এন্ড ইলেকট্রনিক্স” দোকান স্বত্তাধিকারি মোঃ মশিউর রহমান ফিরোজের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দীর্ঘ কিছুদিন থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের কারনে সরকার লকডাউন দিয়েছে। তাই সকাল সকাল দোকান বন্ধ করে চলে যায়।
প্রতিদিনের মত ১৯ তারিখেও ইফতার পর রাত ৮.০০ টার সময় বন্ধ করে চলে যায়। পরের দিন অর্থাৎ ২০ তারিখ সকাল আনুমানিক ৫.৩০ মি. রাব্বি নামের এক ছেলে আমাকে ফোন করে জানায় যে, আমার দোকানের তালা ভাংগা এবং সাঁটার বাঁকানো। মনে হচ্ছে চুরি হয়েছে। আমি দ্রুত ঘটনাস্থল অর্থাৎ আমার দোকানে চলে আসি।
আসার পর জানতে পারি শুধু আমার দোকান নয় আরও দুই দোকানের তালা ভাঙ্গা হয়েছে। তাদেরও মালামাল চুরি হয়েছে। এরপর আমি দোকানের ভেতরে ঢুকে দেখি ৭ টিভি নাই। এর মধ্যে ৩২” তিনটা, ২৪” চারটা টিভি, তিনটা গ্যাসের চুলা নাই। যার ব্জার মূল্য ১০৯০০০/= ( এক লক্ষ নয় হাজার) টাকা, নগদ ১২০০০/ = (বার হাজার) টাকা।
খোকন টেলিকমের স্বত্তাধিকারি খোকনের সাথে কথা বলে জানাযায়, তার দোকান থেকে দুইটি মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে যার বাজার মূল্য ১৫০০০/= ( পনের হাজার) টাকা, রিচার্চ কার্ড প্রায় ৭০০০/= ( সাত হাজার) টাকা, ডয়ার থেকে নগদ ১০০০০/= ( দশ হাজার), টাকা চুরি গেছে। তবে শাহিনের মুদি দোকানে চুরি হয়নি।
এতে এলাকাবাসি মনে করছে দোকানের তালা ভেঙেছে তখন হয়তো সাধারণ মানুষ চলে এসেছে এই কারনে চোর হয়তো পালিয়েছে। তবে চুরির এই ঘটনায় বাজার ব্যবসায়ী কমিটি অনেকটায় উদ্বিগ্ন। কারন বিগত পনের বছরের মধ্যে এমন চুরির ঘটনা ঘটেনি। পরে বাজারের নৈশ্য প্রহরি ওয়াজেদ আলীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, আমি কিছু বলতে পারবো না।
এবিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, চুরির বিষয়ে আমি শুনেছি। গত ১৯ তারিখ রাত ২ টা দিকে আমাদের টহল পুলিশ ঐ বাজারের নৈশ্য প্রহরির সাথে কথা বলেছে। তাতে ধারনা করা হচ্ছে চুরি রাত ২ টা থেকে ভোর ৪ টার মধ্যে হয়েছে।
কারন ভোরে অনেক মুসল্লীরা মসজিদের উদ্দেশ্য বের হন। অভিযোগ হয়েছে, আমি পুলিশ অফিসার পাঠিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ( এসআই) আমজাদের সাথে কথা বললে, তিনি বলেন আমরা নৈশ্য প্রহরীকে জিজ্ঞাসা বাদ করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, খু্ব দ্রুত এই চোরকে ধরতে পারবো। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করা হয়নি।