গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহ: বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রান্তিলগ্নে “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে র্যাব বাংলাদেশের মানুষের কাছে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করে নিয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের চাঞ্চল্যকর অপরাধ স্বরূপ উদঘাটন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার কারনেই এই প্রতিষ্ঠান মানুষের কাছে আস্থা ও নিরাপত্তা অন্য নাম হিসেবে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। র্যাব তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, মানব-পাচার, হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থান থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কর্তৃক ইতিমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার ৯ নং কাঁঠালী ওয়ার্ডে অবস্থিত আর্টি কম্পোজিট লিমিটেড-এর জমি-জমা নিয়ে উক্ত ফ্যাক্টরির এমডি ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক (৬৬) এর সাথে স্থানীয় জসিম উদ্দিন পাঠান (৫৫) এর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
উক্ত জমিতে মাটি ফেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি এবং সংঘর্ষের এক পর্যায়ে গত ১৪ জুলাই বেলা আনুমানিক ১০:৪৫ ঘটিকার সময় জসিম উদ্দিন পাঠান তার সহযোগী রুহুল আমিন পাঠান(৪০), ইকবাল পাঠান (৩৮), শিরিন আক্তার (৪০),নাজিম উদ্দিন পাঠান (৫০), মো মমিনুল ইসলাম (৩৫), মাসুম মোল্লা (৫০), মো: রফিকুল ইসলাম মুন্সী (৫৫), মোঃ মিজানুর রহমান পাঠান (৪৫), রঞ্জিত শীল (৩৫) অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন মিলে ভিকটিম আব্দুর রাজ্জাক’কে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং ডান পা এর হাড় আলাদা হয়ে মাংসের সাথে ঝুলতে থাকে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। উক্ত ঘটনার সংক্রান্তে ভালুকা থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
এই চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ ছায়া তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
গত ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সময়ে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ সদর কোম্পানি এবং স্পেশাল কোম্পানির কয়েকটি চৌখস অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার পাগলা থানা কান্দি এলাকা এবং ভালুকা থানার পারুলদিয়া ও কাঁঠালী এলাকায় যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ঘটনার মূলহোতা জসিম উদ্দিন পাঠান (৫৫) ও তার সহযোগী রুহুল আমিন পাঠান (৪০), ইকবাল পাঠান (৩৮) এবং মাসুম মোল্লা (৫০)দেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভিকটিমকে আঘাত করার কাজে ব্যবহৃত দা-টি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে উক্ত ঘটনার মূল হোতা ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করেছে বলে স্বীকার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। র্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ সকল অপরাধীদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।