দশমিনা ( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনায় মোসা. মৌসুমি (২৬) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টার উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের
দক্ষিণ রনগোপালদী গ্রামের শ্বশুর বাড়ির ঘরের আড়া থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে দশমিনা থানা পুলিশ।
ওই গৃহবধূ ওই গ্রামের মো. আসাদুল হাওলাদারের স্ত্রী ও দুই মেয়ে এবং এক ছেলের জননী। স্বজনদের দাবি মৌসুমিকে তার শ্বশুর
বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
স্বজন সূত্র জানায়, প্রায় ৭ বছর আগে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিণ রনগোপালদী গ্রামের মো. আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে মো. আসাদুল হাওলাদারের সাথে আলীপুরা ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের কাঞ্চন সিকদারের মেয়ে মোসা.
মৌসুমির বিয়ে হয়।
সম্প্রতি এক মেয়ে ও এক ছেলের পর মোসা. মৌসুমি নতুন করে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে ও যৌতুকের জন্য তাদের সংসারে
কলোহের সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনার দিন শ্বশুর বাড়ির লোকজন ঘরের আড়ার সাথে মৌসুমির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
মৌসুমির চাচাতো ভাই মো. রবিউলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে রবিউলের বোনকে তার স্বামী বিভিন্ন সময় মারধর করতো এবং দীর্ঘদিন ধরে যৌতুক দাবি করে আসছিল। ঈদের দিনও মৌসুমিকে মারধর করা হয়। সম্প্রতি মৌসুমির স্বামী জালের সাবার করার জন্য শ্বশুর বাড়িতে টাকা আনতে পাঠায় তাকে।
মৌসুমির চাচাতো ভাইয়ের দাবি বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে না পারায় ঘটনার দিন আসাদুল তার স্ত্রী মৌসুমিকে মেরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে। রবিউল আরও জানান, মৌসুমি একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় তার স্বামী তার উপর ক্ষুদ্ধ ছিল।
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. জসিম জানান, পারিবারিক কলহ ছিল এটা সত্যি। মেরে ফেলা হয়েছে কি না প্রাথমিকভাবে এমন কোন প্রমাণ আমরা পাইনি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী প্রেরণ করা হয়েছে।