ডেইলি নিউজ বাংলা ডেক্স: ৬ ফুট উচ্চতার মাহতাব উদ্দিনের এই লম্বা দাড়ি তাঁকে বিশেষ পরিচিতি এনে দিয়েছে। দাড়ির জন্য ৬৯ বছরের এই মানুষটিকে কুষ্টিয়া দৌলতপুরের প্রায় সবাই চেনে।
হাসিখুশি থাকেন বলে লোকজন মাহতাবকে বেশ পছন্দও করে। দৌলতপুর উপজেলার পাককোলা গ্রামে তাঁর পৈতৃক বাড়ি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বর্তমানে গ্রামের বাড়ি পাককোলাতে বসবাস করছেন।
মাহতাব উদ্দিন লাদেন ডেইলি নিউজ বাংলা”কে বলেন, ‘বাপ-দাদার মুখের দাড়ি পেট পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। আশা ছিল, আমার দাড়ি তাঁদের দাড়ি ছাড়িয়ে যাবে। আল্লাহ সে আশা পূরণ করেছেন। নিয়মিত দাড়ির যত্ন করেন। প্রতিদিন চিরুনি দিয়ে দাড়ি আঁচড়ান, তেল দেন। দাড়ির যত্ন স্ত্রী আশানুর বানু খুব সহায়তা করেন বলে জানান মাহাতাব উদ্দিন(রাদেন)।
আমৃত্যু এই দাড়ি রাখার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। মাহতাব উদ্দিন লাদেন বলেন, আমি দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি ২০০১ সালে গ্রামে মৌসুমি (পাট, তামাক) ব্যবসা করতাম ২০০২ সাল থেকে মুখে দাড়ি রাখা শুরু করি ২০০৮ , ২০১২ ও ২০১৫ সালে তিন দফায় প্রায় ৩ হাত করে দাড়ি কেটে ফেলেছি। পরে আবার বেড়ে ওঠে।
এভাবে এখন দাড়ির দৈর্ঘ্য ছয় ফুট। তাঁর দাড়ি জট পাকানোও নয়। লম্বা, সোজা ও পরিচ্ছন্ন। রাস্তাায় চলাচলের সময় ধুলাবালু থেকে রক্ষা পেতে খোঁপার মতো দাড়ি বেঁধে রাখেন। মাহতাব উদ্দিন লাদেন আরো বলেন বাউল লালন শাহের ভক্ত আমি বিভিন্ন জেলায় বাউলদের সঙ্গে ঘুরতেও যায় আমি। যে এলাকায় য়াই সেখানের লোকজনই আমার সঙ্গে ছবি তুলতে আসেন।
কেউ কেউ নকল দাড়ি ভেবে তা স্পর্শ করে যাচাই করতে চান। যখন দেখেন যে আসল, তখন তাঁরা অবাক হয়ে যান। আমি কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা এলাকার গ্রীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিপণন ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করি।
রাদেনের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সবার বিয়ে হয়ে গেছে নাতি-নাতনিও আছে পাককোলা গ্রামের বাসিন্দা লালন অনুসারী সামসুল ফকির ডেইলি নিউজ বাংলাকে বলেন, মাহতাব উদ্দিনের বাপ-দাদারও এমন লম্বা দাড়ি ছিল। শখের বশে মাহতাব লম্বা দাড়ি রেখেছেন।