দৌলতপুর প্রতিনিধিঃ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে অন্তত ৩৫টি গ্রাম। পানিবন্দী অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ পৌছেছে চরমে। বিশুদ্ধ পানি আর খাবার সংকটে অনাহারে দিন কাটছে বানভাসীদের। তার ওপর আগ্রাসী নদী ভাঙ্গনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষগুলো।
অব্যাহতভাবে পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের পরিবারগুলো মাঝে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। চরবাসী তাদের নিত্যদিনের হাটবাজার ও পারিবারিক কার্যাবলী নৌকা ও ট্রলারযোগে সম্পন্ন করছেন। খাবারের তাড়নায় তারা এখন ঘরের মধ্যে শুকনো জায়গায় তাদের বিছানার উপর রান্নার কাজ করতে হচ্ছে। এরিই মধ্যে কমতে শুরু করেছে বণ্যার পানি, এ যেন শ্বস্তির নিঃস্বাস।
বন্যা কবলিত এলাকায় এরিই মধ্যে বন্যার্থদের খাদ্য সমস্যার কথা ভেবে সরকারী, বে-সরকারী বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণ সামগ্রি বিতরণ শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সারাদিন ব্যাপি কুষ্টিয়া দৌলতপুরের চরাঞ্চলের বানভাসি মানুষের মাঝে ৬৪০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন চিলমারী ও রামকৃঞ্চপুর এ দু ইউনিয়নের মানুষের মাঝে।
মেজর আসিফ ইকবাল এর উদ্দোগে বিদ্যানন্দের সহযোগীতায় খাদ্য সামগ্রী বিতরন করেন, দৌলতপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যাক্ষ আলহাজ রেজাউল করিম, প্রকৌশলী মোঃ আক্তারুজ্জামান, সিনিয়র শিক্ষক আওলাদ হোসেন লিটন এবং সার্বিক তত্বাবধানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দৌলতপুর উপজেলা শাখা সিনিয়র যুগ্মআহবায়ক মাজহারুল ইসলাম পিকলু। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে বিদ্যানন্দ সংস্থার ত্রাণ অব্যাহত আছে।