র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, ধর্ষণ এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।
ঘটনাঃ গত ০৪/০৯/২০২১ ইং তারিখে অনুমান সন্ধ্যা ০৬.৪৫ ঘটিকার সময় সাইদুল ইসলাম(২০),পিতা- মো- আব্দুল সাত্তার, সাং-বহুতি, পোস্ট-শিয়ালকোল, থানা-সদর, জেলা-সিরাজগঞ্জ ঢাকা হতে নিজ বাড়ি সিরাজগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে রওনা করেন। ভিকটিম সাইদুল ইসলাম নলকা মোড়ে বাস হইতে নামিলে অজ্ঞাতনামা অপহরনকারীরা জোর পূর্বক তাকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে অজ্ঞাতনামা স্থানে আটকিয়ে রাখে।
অপহরনকারীরা ভিকটিমের ভাইকে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করে এবং শারীরিক নির্যাতন করে কান্নার শব্দ ভিকটিমের পরিবারকে শোনায় এবং চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার অনেক খোজা খুজির পর ০৪/০৯/২০২১ তারিখ আনুমানিক রাত ০৯.০০ ঘটিকায় র্যাব-১২ এর কাছে অপহরণের অভিযোগ করে এবং ভিকটিমকে উদ্ধারের আকুতি জানায়। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-১২ এর স্পেশাল কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মিঃ জন রানা এর নেতৃত্বে বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তাকে ০৫/০৯/২০২১ তারিখ বিকেল ০৪.০০ ঘটিকায় সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন শিয়ালকোল বাজার এলাকা হইতে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের মূল হোতা মুহাম্মদ কাসেম আলীকে গ্রেফতার করে এবং ভিকটিম সাইদুল ইসলামকে উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী মুহাম্মদ কাসেম আলী (২৮), পিতা- মৃত শহিদুল ইসলাম,সাং- রঘুনাথপুর পূর্ব পাড়া, থানা- সদর, জেলা- সিরাজগঞ্জ। এ সংক্রান্তে অপহৃতের ভাই বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানায় মামলা দায়ের করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে সিরাজগঞ্জের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরণের অপহরণকারী গ্রেফতার অভিযান সচল রেখে মাদকমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে র্যাব-১২ বদ্ধপরিকর। র্যাব-১২ কে তথ্য দিন – মাদক , অস্ত্রধারী ও জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অংশ নিন।