ডেইলি নিউজ বাংলা ডেক্স: কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের ধর্মদহ সীমান্ত ওপারে নদীয়া জেলার করিমপুর থানার শীকারপুর সীমান্ত, দুই বাংলা শুধুমাত্র পদ্মার শাখা মাথাভাঙ্গা নদী দ্বারা বিভাজোন। প্রতি বছরেই হাজারও বাংলাদেশি উৎসুক জনতার ভিড় হয় এই মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে।
শুধু এই এলাকার মানুষের মধ্যে বিজয়া দশমীকে ঘিরে আনন্দ নই, ছুটেআসে আশপাশের জেলা থেকেও অনেক দর্শনার্থী। দুর দুরান্ত থেকে আশা সাধরন মানুষ গুলো আশে মুলতঃ ওপার বাংলার আত্মিয়-স্বজনদের সাথে কুশলবিনিময় করতে। একবছর পর পর তারা একে অপরকে দেখে মহা খুশি। প্রতি বছর এই দিনের অপেক্ষায় থাকে তারা।
কবে আসবে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। জিরো পয়েন্টে এই দিনটিকে ঘিরে বি.এস.এফ ও বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড জওয়ানদের তৎপরতা অনেক বেশি থাকে। কড়া নজরদারিতে রাখে দু-পারের সাধারন মানুষকে যেন কেউ নদী পেরিয়ে এপার-ওপার হতে না পারে।
সামান্য সময়কে ঘিরে উৎসুক জনতা আনন্দে মেতে থাকে, যখন দেবী দুর্গাকে ঢাকের তালে তালে এই মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের সকল ভক্তরা বিসর্জনের জন্য। সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই অপেক্ষায় থাকে যতক্ষননা শেষ বিসর্জনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বিদের দুর্গাপুজা বিসর্জন না হয়।
একাধীক পুজামন্ডপ থেকে আসে দলবেধে একের পর এক ঢাকের তালেতালে নাচা-নাচি করতে করতে। এ এলাকায় দেখা গেছে প্রায় ১৮-২০ প্রতিমা বিসর্জন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বির ভক্তরা। বেলা যতো পশ্চিমে গড়তে থাকে মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় কানায় কানায় ভরতে থাকে উৎসুক জনতা। অপেক্ষায় থাকতে হয় কখন আসবে ঢাক ও নৃত্যের তালেতালে প্রতিমা বিসর্জন দিতে ভক্তরা।
সন্ধ্যা লাগার আগেই এসে হাজির হয় মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়ে প্রতিমা। শেষ বিদায় জানাতে মরিয়া হয়ে উঠে সনাতন ধর্মাবলম্বির ভক্তরা। সন্ধ্যায় মাথাভাঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গা উৎসবের ইতিটানে। ভক্ত ও দর্শনার্থিরা ফিরে আসে আপনালয়ে।