ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত  প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন করলেন এসপি সাফিউল সারোয়ার দিনাজপুরের কৃতি সন্তান রোকমুনুর জামান রনি আবারও বেসিস সহায়ক কমিটিতে নির্বাচিত পদ্মার চরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ ২ যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তারেক রহমান আবারো ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারে ভূষিত হলেন ওসি শাহিন রেজা  মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই–ইউএনও আরিফুজ্জামান  ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালে ইংরেজি বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন সরকারি বালিকা বিদ্যালয় লালপুরে নারীর জাগরণ মঞ্চ করলেন- পুতুল নারীর অগ্রযাত্রায় জিয়া পরিবার ভূমিকা রেখেছে ঐতিহাসিকভাবে—অধ্যাপক শহীদুল

স্কুল ছাত্র লাবিব আলমাস কে দাওয়াত দিয়ে সিনেমা স্টাইলে মারপিট

কুষ্টিয়ায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্র লাবিব আলমাস কে দাওয়াতের নাম করে মারধর সোস্যাল মিডিয়াতে (ভিডিও ভাইরাল) গতকাল বিকেলে হাউজিং চাঁদাগারের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্র লাবিব আলমাস কে দাওয়াতের নাম করে মারধর সোস্যাল মিডিয়াতে (ভিডিও ভাইরাল) খরব পাওয়া গেছে। গতকাল বিকেলে হাউজিং চাঁদাগারের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্র লাবিবের অভিভাবকের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমার ছেলে লাবিব আলমাস কুষ্টিয়া নামকরা একটি স্কুলের ছাত্র। সে স্কুলে অ্যাসাইমেন্ট জমা দিতে যায়।

পরে তার বন্ধু অভি, রাতুলের সাথে দেখা হলে তারা আমার ছেলেকে তাদের বাসায় দাওয়াত আছে বলে জানায়। আমার ছেলে বিকালে তাদের বাসা কোর্টপাড়াতে গেলে ঐখান থেকে রিক্সা যোগে হাউজিং চাঁদাগার মাঠের মধ্য নিয়ে যায়। আগ থেকে ওকে মারার সিদ্ধান্ত করা হয়েছিল। ফলে তাকে একা পেয়ে অভি ও রাতুল চরথাপ্পর দেয়। এলাকার কয়েকজন এটা দেখে থামিয়ে দেন এবং আমার ছেলে রিক্সা যোগে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। তিনি আরও জানান আল্লাহর রহমতে আমার ছেলে অল্পের জন্য জীবন রক্ষা পেয়েছে।

কয়েকদিন আগে কিশোর গ্যাংরা কুষ্টিয়া এন এস রোড সংলগ্ন হৃদয় নামে একটি ছেলেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার ফলে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে এখনও ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। তবে বিষয়টি তার সুষ্ঠ বিচার চেয়েছেন বলে তিনি জানান। অভি বর্তমানে খালার বাসা থেকে পড়াশোনা করেন। তার গ্রামের বাড়ী দৌলতপুর উপজেলাতে। লাবিব আলমাস জানায় আমি এই বন্ধুর সাথে এই স্কুলে একই সাথে পরতাম। কোন এক খারাপ কাজ করায় ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাকে টিসি দিয়ে বের করে দেন। তারপর থেকে আমাদের কথা হয় ফেসবুকের মাধ্যমে কথা আদান প্রদান করতাম। আমি সকালে স্কুলে অ্যাসাইমেন্ট জমা দিতে গেলে তার সাথে দেখা হয় এবং আমাকে বিকালে দাওয়াতের কথা বলে।

পরে দাওয়াত তো দুরের কথা কোন কিছু ভাবার আগে আমাকে তিন চারজন মিলে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে। কোন রকম ওখান থেকে পালিয়ে বেঁচে যায়। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্কুল ছাত্রের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি জানান লাবিব আলমাস সে আমাদের স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। তাকে কি কারণে মারছে বিষয়টি এখনও জানতে পারি নাই। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

স্কুল ছাত্র লাবিব আলমাস কে দাওয়াত দিয়ে সিনেমা স্টাইলে মারপিট

আপডেট টাইম : ০৮:০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২০

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় ৮ম শ্রেণীর ছাত্র লাবিব আলমাস কে দাওয়াতের নাম করে মারধর সোস্যাল মিডিয়াতে (ভিডিও ভাইরাল) খরব পাওয়া গেছে। গতকাল বিকেলে হাউজিং চাঁদাগারের মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্র লাবিবের অভিভাবকের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমার ছেলে লাবিব আলমাস কুষ্টিয়া নামকরা একটি স্কুলের ছাত্র। সে স্কুলে অ্যাসাইমেন্ট জমা দিতে যায়।

পরে তার বন্ধু অভি, রাতুলের সাথে দেখা হলে তারা আমার ছেলেকে তাদের বাসায় দাওয়াত আছে বলে জানায়। আমার ছেলে বিকালে তাদের বাসা কোর্টপাড়াতে গেলে ঐখান থেকে রিক্সা যোগে হাউজিং চাঁদাগার মাঠের মধ্য নিয়ে যায়। আগ থেকে ওকে মারার সিদ্ধান্ত করা হয়েছিল। ফলে তাকে একা পেয়ে অভি ও রাতুল চরথাপ্পর দেয়। এলাকার কয়েকজন এটা দেখে থামিয়ে দেন এবং আমার ছেলে রিক্সা যোগে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন। তিনি আরও জানান আল্লাহর রহমতে আমার ছেলে অল্পের জন্য জীবন রক্ষা পেয়েছে।

কয়েকদিন আগে কিশোর গ্যাংরা কুষ্টিয়া এন এস রোড সংলগ্ন হৃদয় নামে একটি ছেলেকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার ফলে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে এখনও ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছে। তবে বিষয়টি তার সুষ্ঠ বিচার চেয়েছেন বলে তিনি জানান। অভি বর্তমানে খালার বাসা থেকে পড়াশোনা করেন। তার গ্রামের বাড়ী দৌলতপুর উপজেলাতে। লাবিব আলমাস জানায় আমি এই বন্ধুর সাথে এই স্কুলে একই সাথে পরতাম। কোন এক খারাপ কাজ করায় ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাকে টিসি দিয়ে বের করে দেন। তারপর থেকে আমাদের কথা হয় ফেসবুকের মাধ্যমে কথা আদান প্রদান করতাম। আমি সকালে স্কুলে অ্যাসাইমেন্ট জমা দিতে গেলে তার সাথে দেখা হয় এবং আমাকে বিকালে দাওয়াতের কথা বলে।

পরে দাওয়াত তো দুরের কথা কোন কিছু ভাবার আগে আমাকে তিন চারজন মিলে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে। কোন রকম ওখান থেকে পালিয়ে বেঁচে যায়। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্কুল ছাত্রের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি জানান লাবিব আলমাস সে আমাদের স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। তাকে কি কারণে মারছে বিষয়টি এখনও জানতে পারি নাই। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে।