মো.আককাস আলী নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর মহাদেবপুরে পাগলা শেয়ালের কামড়ে গত দুইদিনে নারী ও শিক্ষার্থীসহ ৯ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এন্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, গত রোববার রোববার রাত ৮টার দিকে একটি পাগলা শেয়াল উপজেলা সদরের বাজারে ঢুকে পড়ে। বাজারের বিভিন্ন স্থানে দৌড়াদৌড়ি করার একপর্যায়ে সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কামড় দিয়ে আহত করেছে।
ওইদিন ওই শেয়ালের কামড়ে জখম হয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন, সদর
ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চৌধুরী দুলাল (৬৫), বিল
মোহাম্মদপুর গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (৩৫), ডিমজাউন গ্রামের সোলাইমান আলীর ছেলে সহিদ রানা (২৫), লক্ষ্ধসঢ়;ণপুর গ্রামের গোপাল চন্দ্রের ছেলে নয়ন কুমার (৩৬), চককন্দর্পপুর গ্রামের হারাধনের স্ত্রী কাকলী রাণী (২৫) ও বাজিতপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবরিনা আকতার (৭)। পরদিন সোমবার (১ নভেম্বর) আবারও রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা বাজারে ঢুকে তিনজনকে কামড় দিয়ে জখম করেছে।
জখমকৃতরা হলেন, উপজেলার উত্তরগ্রাম গ্রামের ছফের আলী মোল্লার
ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫), দেওয়ানপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে এনামুল হক (৩২) ও পতœীতলার অফেল উদ্দিনের ছেলে মোজাহেদুল ইসলাম (৩০)। সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান চৌধুরী দুলাল জানান, রাত ৮টায় তিনি মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ডে হাঁটার সময় হঠাৎ শেয়ালটি দৌড়ে এসে তার পায়ে কামড়ে দেয়।
এতে তার পায়ের মাংস কিছুটা উঠে যায় এবং আহত সাইদুর রহমান জানান, বকের মোড়ে হাঁটার সময় শেয়ালটি দৌড়ে এসে তার হাতে কামড়ে দেয়। এতে তার হাতের একটি আঙুল প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল হাকিম জানান, আহতদেরকে এন্ট্রি র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। পাগলা শেয়াল কুকুর নিধনের দায়িত্ব প্রাণিসম্পদ দপ্তরের।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, পাগলা শেয়াল চিহ্নিত করে নিধনের কোনো ব্যবস্থা তাদের নেই। এ ব্যাপারে সাধারণ জনগণকে সচেতন থাকতে হবে।