ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত  প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন করলেন এসপি সাফিউল সারোয়ার দিনাজপুরের কৃতি সন্তান রোকমুনুর জামান রনি আবারও বেসিস সহায়ক কমিটিতে নির্বাচিত পদ্মার চরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ ২ যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তারেক রহমান আবারো ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারে ভূষিত হলেন ওসি শাহিন রেজা  মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই–ইউএনও আরিফুজ্জামান  ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালে ইংরেজি বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন সরকারি বালিকা বিদ্যালয় লালপুরে নারীর জাগরণ মঞ্চ করলেন- পুতুল নারীর অগ্রযাত্রায় জিয়া পরিবার ভূমিকা রেখেছে ঐতিহাসিকভাবে—অধ্যাপক শহীদুল

দশমিনায় মডেল মসজিদ নির্মানে অনিশ্চয়তা সাধারন মুসুল্লীদের ক্ষোভ

মোঃ বেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি মামলা জটিলতায় দশমিনায় মডেল মসজিদ নির্মানে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এঘটনায় স্থানীয় ধর্মপ্রান মুসুল্লিদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, ২০১৯ সালে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যেগে উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্রে দশমিনা সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে ১২ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঢালি কনাক্ট্রাকশন, মাসুদ এ্যান্ড ব্রাদার্স ও গাজী কনাক্ট্রশন যৌথভাবে দশমিনা মডেল মসজিদ নির্মান কাজ পায়। মডেল মসজিদের নির্মান কাজ শুরুর পর জমির মালিকানা দাবী করে ২০২১ সালে দশমিনার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নুর হোসেন। ওই মামলায় নিষেধাজ্ঞা জারির পর মসজিদের নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন।
দশমিনা আইনজীবী কল্যান সমিতির সভাপতি ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট সিকদার গোলাম মোস্তফা বলেন, শত বছর আগে ওই স্থানে মসজিদ নির্মান হয় এবং জমির মালিকেরা দলিল অথবা মৌখিক ভাবে মসজিদে জমি দান করে গেছেন সেই জমির মালিকানা দাবী করে মামলা দিয়ে একটি মহল মডেল মসজিদ নির্মান কাজে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মসজিদের মালিকানায় ৫৪ শতাংশ জমি রয়েছে এর মধ্যে ১১.১১ শতাংশ জমির দলিল মসজিদের নামে রয়েছে। বাকি জমির মালিকানা দাবী করে নীলজান বিবি,হামিদ মহল্লাদার, কবুলচান বিবি ও আনীলা খাতুনের ওয়ারিশরা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক ফখরুজ্জামান বাদল বলেন, একটি মহলের ইন্ধনে জমির মালিকানা দাবীদার ব্যাক্তিরা মডেল মসজিদ নির্মান কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। তিনি আরো বলেন, মসজিদের জমির মালিকানা দাবীদারদের সাথে একাধিকবার সমঝোতা বৈঠক করা হলেও তারা বিনা মূল্যে মসজিদের নামে জমির দলিল দিতে অস্বীকৃতি জানান।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাদক্ষ ও উপজেলা আইনজীবী কল্যান সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, পূর্ব পূরুষগন মসজিদ করেগেছেন। সরকার এই মসজিদকে মডেল মসজিদ হিসাবে নির্বাচিত ককরার পর কাজ শুরু করা হয়। কাজ চলোমান অবস্থায় একটি মহলের হিনমানসে জমির মালিকানা দাবী করে মডেল মসজিদ কাজে বাধাদান কেরছে।

দশমিনা মডেল মসজিদ নির্মান কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা গনপূর্ত অধিদপ্তরের উপ প্রকৌশলী মোঃ মনির হোসেন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে আদালতের নিষেধাজ্ঞার চিঠি পেয়ে মডেল মসজিদ নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। গনপূর্ত অধিদপ্তরের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ তৈয়বুর রহমান বলেন, দশমিনা মডেল মসজিদ নির্মানে জমি অধিগ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ফাইল প্রেরন করা হয়েছে। যেহেতু আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাই মডেল মসজিদ নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
মডেল মসজিদের জমির মালিকানা দাবীকারী মোঃ নুর হোসেন ও মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, বাপ, দাদার রেখে যাওয়া জমি অধিগ্রহন করে আমাদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিলেই আমরা জমির মালিকানা মসজিদের নামে ছেড়ে দেবো।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

দশমিনায় মডেল মসজিদ নির্মানে অনিশ্চয়তা সাধারন মুসুল্লীদের ক্ষোভ

আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মোঃ বেল্লাল হোসেন
দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি মামলা জটিলতায় দশমিনায় মডেল মসজিদ নির্মানে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এঘটনায় স্থানীয় ধর্মপ্রান মুসুল্লিদের মধ্যে চরম হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, ২০১৯ সালে ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যেগে উপজেলা সদরের প্রানকেন্দ্রে দশমিনা সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে ১২ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঢালি কনাক্ট্রাকশন, মাসুদ এ্যান্ড ব্রাদার্স ও গাজী কনাক্ট্রশন যৌথভাবে দশমিনা মডেল মসজিদ নির্মান কাজ পায়। মডেল মসজিদের নির্মান কাজ শুরুর পর জমির মালিকানা দাবী করে ২০২১ সালে দশমিনার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ নুর হোসেন। ওই মামলায় নিষেধাজ্ঞা জারির পর মসজিদের নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘদিন।
দশমিনা আইনজীবী কল্যান সমিতির সভাপতি ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট সিকদার গোলাম মোস্তফা বলেন, শত বছর আগে ওই স্থানে মসজিদ নির্মান হয় এবং জমির মালিকেরা দলিল অথবা মৌখিক ভাবে মসজিদে জমি দান করে গেছেন সেই জমির মালিকানা দাবী করে মামলা দিয়ে একটি মহল মডেল মসজিদ নির্মান কাজে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মসজিদের মালিকানায় ৫৪ শতাংশ জমি রয়েছে এর মধ্যে ১১.১১ শতাংশ জমির দলিল মসজিদের নামে রয়েছে। বাকি জমির মালিকানা দাবী করে নীলজান বিবি,হামিদ মহল্লাদার, কবুলচান বিবি ও আনীলা খাতুনের ওয়ারিশরা আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক ফখরুজ্জামান বাদল বলেন, একটি মহলের ইন্ধনে জমির মালিকানা দাবীদার ব্যাক্তিরা মডেল মসজিদ নির্মান কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। তিনি আরো বলেন, মসজিদের জমির মালিকানা দাবীদারদের সাথে একাধিকবার সমঝোতা বৈঠক করা হলেও তারা বিনা মূল্যে মসজিদের নামে জমির দলিল দিতে অস্বীকৃতি জানান।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির কোষাদক্ষ ও উপজেলা আইনজীবী কল্যান সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, পূর্ব পূরুষগন মসজিদ করেগেছেন। সরকার এই মসজিদকে মডেল মসজিদ হিসাবে নির্বাচিত ককরার পর কাজ শুরু করা হয়। কাজ চলোমান অবস্থায় একটি মহলের হিনমানসে জমির মালিকানা দাবী করে মডেল মসজিদ কাজে বাধাদান কেরছে।

দশমিনা মডেল মসজিদ নির্মান কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা গনপূর্ত অধিদপ্তরের উপ প্রকৌশলী মোঃ মনির হোসেন বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে আদালতের নিষেধাজ্ঞার চিঠি পেয়ে মডেল মসজিদ নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। গনপূর্ত অধিদপ্তরের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ তৈয়বুর রহমান বলেন, দশমিনা মডেল মসজিদ নির্মানে জমি অধিগ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ফাইল প্রেরন করা হয়েছে। যেহেতু আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তাই মডেল মসজিদ নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
মডেল মসজিদের জমির মালিকানা দাবীকারী মোঃ নুর হোসেন ও মোঃ এনায়েত হোসেন বলেন, বাপ, দাদার রেখে যাওয়া জমি অধিগ্রহন করে আমাদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিলেই আমরা জমির মালিকানা মসজিদের নামে ছেড়ে দেবো।