রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ড্রাইভার থেকে কোটিপতি বনে গেছেন ৬নং মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের একজন সাধারণ সদস্য (মেম্বার)। সেই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চুরি, মাদক ব্যবসা ও টাকার বিনিময়ে পক্ষপাতিত্বমুলক শালিস দরবার করার অভিযোগও রয়েছে। ঐ ইউপি সদস্যের নাম মোহাব্বত আলী মিন্টু। সে উপজেলার বিদিরপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি ৬নং মাটিকাটা ইউনিয়ের ২ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাত্র বছর ৩ আগেও যার একমাত্র আয় রোজগারের পথ ছিল গাড়ীর ড্রাইভারি করা। সেখান থেকে হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন মিন্টু। অভিযোগ উঠেছে তিনি মেম্বার হওয়ার পর থেকে এলাকায় মাদকের জমজমাট ব্যবসা করছেন। নিজ বাড়ীর সামনে গড়েছেন তার নবাবী আড্ডাশালা। সেই আড্ডাশালায় বসানো হয়েছে থাই/গ্লাসসহ ইয়ারকন্ডিশনার (এসি)। যেখানে বসেই নিয়ন্ত্রণ করছেন মাদকসহ অবৈধ সকল কারবার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, তিনি যখন ড্রাইভারি করতেন তখন যমুনা গ্রুপের হয়ে (ভাড়ায়) চাপাই নবাগঞ্জের সোনা মসজিদ থেকে ইন্ডিয়ান সোয়াবিন দানা ও গোখাদ্য হিসেবে ভূসি নিয়ে আসতেন। সেসময় তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ উঠে।
সেই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। যার মামলা নাম্বার জিআর ৫৭৪/২২। পরে তাকে সেই কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেসময় প্রচুর পরিমানে চুরি করে বেশ অর্থসম্পদ গড়ে তুলেছিলেন তিনি। তাকে একবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানায় ট্রাকসহ ফেনসিডিল আটক করেছিল বলে জানা অভিযোগ যায়। সেদিন সে, নিজে ড্রাইভিং করছিল এবং গাড়িটিও তার ছিল বলে সকলের জানা।
পরে এলাকায় আরও খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সে তার নিজ চেম্বারে বসে সকল দেন দরবার করেন। এমনকি পুলিশ প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মাদক (ফেনসিডিল) সেবন করে থাকেন এই ইউপি সদস্য। শুধু তাই নয়, শহর থেকে কোন দলীয় নেতাকর্মীরা আসলে তাদের আপ্যায়নের তকমা হিসেবে দেওয়া ফেনসিডিলের বোতল। ইতিমধ্যে তিনি পার্টনারের মাধ্যমে পদ্মানদীর দুইটি ঘাঁট ইজারা নিয়েছেন বলে জানা গেছে। সল্প সময়ে জমি কিনেছেন প্রায় বিঘা চারেক। এই ইউপি সদস্যের সম্পদের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
এমন অভিযোগের বিষয়ে মোহাব্বত আলী মিন্টু’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি নানা অযুহাত দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে আবার যোগাযোগ করলে তিনি সামনা সামনি বালুঘাটে দেখা করতে বলেন।