1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
অসহায় নারীরা স্যানেটারী ন্যাপকিন তৈরী করে এখন স্বাবলম্বি - dailynewsbangla
রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ দৌলতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু রাজশাহীতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দৌলতপুর উপজেলা ডেকোরেটর মালিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন: সভাপতি রাজিব, সম্পাদক আজাদ দৌলতপুরে শরিফ উদ্দিন জুয়েলের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দরুদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ভেড়ামারায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক হেলাল মজুমদার কুষ্টিয়া হাজারীবাগের কৃতি সন্তান মুক্তিযোদ্ধা মুজিবর রহমানের ইন্তেকাল বোয়ালমারীতে বিএনপি’র ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ডিবি পুলিশের বহিষ্কৃত এসআই মাহবুব হাসান ২ দিনের রিমান্ডে দৌলতপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে নির্বাচনী প্রচারণায় জামায়াতের এমপি প্রার্থী বেলাল উদ্দিন

অসহায় নারীরা স্যানেটারী ন্যাপকিন তৈরী করে এখন স্বাবলম্বি

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ মার্চ, ২০২১
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সমাজের অসহায় নারীরা তৈরী করছেন স্যানেটারী ন্যাপকিন।

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সমাজের অসহায় নারীরা তৈরী করছেন স্যানেটারী ন্যাপকিন।


স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সমাজের অসহায় নারীরা তৈরী করছেন স্যানেটারী ন্যাপকিন। মোট ১৭ জন নারী স্বাস্থ্যসম্মত ন্যাপকিন তৈরী করছেন। এতে ফিরে এসেছে তাদের সাংসারিক স্বচ্ছলতা। এ সমস্ত হতদরিদ্র মহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে ওয়েল সার্জিক্যাল ইন্ডাসট্রিজ লিমিটেড।

কালীগঞ্জের বাকুলিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত ওয়েল সার্জিক্যাল এ- কেমিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের কারখানায় কাজ করেন। তারা প্রশিক্ষন নিয়ে স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে তৈরী করছেন সার্জিক্যাল চিকিৎসায় ব্যবহৃত কটন, গজ, ব্যানডেজ, প্যাড, সিজার বেল্ট, মাথা ব্যথায় ব্যবহৃত কোর সেট বেল্ট, গলার বেল্ট, আর্ম সেলিং ব্যান্ডেজসহ মানবদেহের বাহ্যিক চিকিৎসা সংক্রান্ত ১৪ প্রকার জিনিসপত্র।

অসহায় জীবনের গল্প শোনালেন রাজিয়া, রুনা আকতার, পলি, রোজিনা আকতার ,পলি বেগম, সাকিলা আকতার, ময়না খাতুন, পিংকি রানী দাস, সোনিয়া আকতার, মাছুদা খাতুন, লিপি খাতুন, রুমি খাতুন, স্বপ্না, বিজলীসহ জীবনযুদ্ধে শামিল হওয়া অসহায় ১৭ জন নারী। যারা এখন সকলেই সাংসারিক ভাবে স্বাবলম্বি।

মেয়েরা কেউ বিভিন্ন প্রকার বেল্টের কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করছেন, কেউ তৈরীকৃত জিসিপত্রের প্যাকিং করছেন। অন্যদিকে কেউ ঘুরে ঘুরে কাজ তদারকি করছেন। আবার তৈরীকৃত মাল বাজারজাত করতে কার্টুন ভরে নিয়ে যাচ্ছেন মার্কেটিংয়ে নিয়োগ প্রাপ্তরা। ফলে সবাই যেন নিজ নিজ কাজে মহাব্যস্ত। কথা হয় এখানে কর্মরত বিজলী খাতুনের সাথে তিনি জানান, বেশ কিছুদিন আগে তার স্বামী মারা গেছে। স্বামীর সংসারে তেমন কিছুই নেই।

তার একটা ছেলে রয়েছে। এতোদিন ভ্যানচালক বাবার ঘাড়ে বোঝা হয়ে ছিলেন। এরপর এখানে কাজ পেয়ে যা বেতন পাচ্ছেন তা দিয়ে এখন চলতে পারছেন। তিনি বলেন, এতোদিন হতাশার মধ্যে দিন কাটতো। এখন অন্তত দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে ছেলেটা মানুষ করার মত একটা পথ খুঁজে পেয়েছেন। রোজিনা খাতুন জানান, সারা বছর সাংসারিক অভাব অনাটনের মধ্যদিয়ে জীবন চলতো। এখানে কাজ পেয়ে প্রতি মাসে সাড়ে ৪ হাজার টাকা বেতন পাচ্ছেন।

যা দিয়ে তার সংসার চলছে। বাঁচতে পারছেন আত্ম সম্মান নিয়ে। সাকিলা খাতুন জানান, এখানে যারা কাজ পেয়েছেন তারা সকলেই অসহায় হতদরিদ্র আগে তাদের মত মহিলাদের কর্মসংস্থানের জন্য ঢাকাসহ দেশের দুরদুরান্তের গামেণ্টসসহ বিভিন্ন কলকারখানায় যেতে হতো। কিন্তু এখন সংখ্যায় কম হলেও তারা বেশ কিছু মহিলা বাড়ি থেকে এসে এখানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন।

তিনি জানান,এখানে যারা কাজ করেন তাদের কাজ খুব প্রয়োজন ছিল। তারা সকলেই মনে করেন কোম্পানি টিকে থাকলে তাদের কাজ থাকবে। ফলে তারা নিজেদের সংসারের কাজের মত যতœশীলভাবে কাজ করেন। আলেয়া বেগম জানান, সমাজে তার মত অসহায় মেয়েদের সংখ্যা কম নয়।

কিন্তু শত অভাব অনাটনের মধ্যেও অনেকে কাজ করতে এলাকা ছেড়ে দুরে কোথাও যেতে পারেন না। যে কারণে সরকারী উদ্যোগে অথবা বিত্তবান লোকেরা যদি এমন মফস্বল পর্যায়ে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তাহলে অসহায় নারীদের কর্মসংস্থান হবে। তাদেরকে অন্যের ঘাড়ের বোঝা হতে হবে না। এ প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার বাহারুল ইসলাম জানান, তাদের এখানে কাজ করা কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশই সমাজের অসহায় নারী।

এ সকল জিনিস তৈরীতে পূর্বে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তাদের কে এ চিকিৎসা সামগ্রী তৈরীর জন্য ঢাকা থেকে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু লাভবান হওয়ার চিন্তায় তাদের নেই। তাদের লক্ষ্য এ এলাকার অসহায় মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ