1. zillu.akash@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@dailynewsbangla.com : Daily NewsBangla : Daily NewsBangla
নান্দাইলে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় ধর্ষক গ্রেফতার - dailynewsbangla
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে – শাহাজান আলী জাল সনদে চাকরি নেওয়া ২০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বাগমারার হাটগাঙ্গোপাড়া মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন আর কোন সরকার যেন ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে: রাজশাহীতে জোনায়েদ সাকি দৌলতপুরে লাঠির আঘাতে আপেল লস্কর নামে ব্যাবসায়ীর মৃত্যু দৌলতপুরে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ এর প্রথম মিলন মেলা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু বোয়ালমারীতে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়ার আয়োজন ভেড়ামারায় ভুয়া ডাক্তার আটক, ভ্রাম্যমান আদালতে ৩ মাসের জেল অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

নান্দাইলে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় ধর্ষক গ্রেফতার

ডেইলী নিউজ বাংলা ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৭ মার্চ, ২০২১

তাপস কর,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহ র‍্যাব। মাদরাসা পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করে ইজিবাইক চালক মনির মিয়া (১৭)।

মামলা হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিল সে। অবশেষে এক মাস পর গতকাল মঙ্গলবার রাতে র‌্যাব-১৪ এর একটি দলের হাতে ধরা পড়ে সে। পরে আজ বুধবার সকালে তাকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

থানায় থাকা অবস্থায় ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোর বলে-‘আমি তো দোষী, তবে তারে তো বিয়া করতে চাইছিলাম, কিন্তু বয়স অয় না যে। স্থানীয় সূত্র জানায়, নান্দাইলের একটি গ্রামের দিনমজুরের কিশোরী কন্যা স্থানীয় একটি মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। মাদরাসায় ও প্রাইভেটে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করত এলাকার ইজিবাইক চালক আবু ছাঈদের ছেলে মনির মিয়া (১৯)।

ঘটনাটি নিয়ে বিচার চাইলেও কোনো ধরনের বিচার পায়নি কিশোরীর পরিবার। এ অবস্থায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে কিশোরী তার বাবাকে পাশের বাড়ি থেকে ডেকে আনতে গেলে মনির তার পথ আটকিয়ে দাঁড়ায়। ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, এ সময় মনির তাকে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণ করে।

পরে মনির চলে যেতে চাইলে তাকে জাপটে ধরে কিশোরী চিৎকার দেয়। চিৎকার শুনে লোকজন ছুটে এলেও দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরদিন এলাকায় বিচার চাইলে স্থানীয় সালিসকারীরা বসে ধর্ষকের সঙ্গে কিশোরীর বিয়ের সিদ্ধান্ত ছাড়াও আইনি পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সালিসের সিদ্ধান্ত কার্যকরী না হওয়ায় পাঁচ দিন পর কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি মীমাংসা করতে সালিশের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জিলু মিয়া। এ ছাড়াও ছিলেন আবু ছাঈদ, সুমন, মজিদ, মদিনা আক্তার, পাবেল মিয়া ও আবু ছিদ্দিক। তাদের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়তে বসেছিল। কিন্তু থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা তদন্তে নামে।

এদিকে, মামলার পরপরই গা ঢাকা দেয় মনির। পুলিশ খুঁজে তাকে পাচ্ছিল না। অবশেষে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার সাভারের আশুলিয়া এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৪ এর একটি দল। পরে আজকে তাকে নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
থানায় থাকা ধর্ষণে অভিযুক্ত মনির জানায়, সে একদিন মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে।

তবে দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া ছিল। ধরা খাওয়ায় মেয়েটি তাকে ফাঁসিয়ে দেয়। এরপর বিয়ে করতে চাচ্ছিল। কিন্তু বয়স কম হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ফয়সালা করতে চায় তার পরিবার। কিন্তু মেয়ের পরিবার এক লাখ টাকা চাওয়ায় দেওয়া সম্ভব হয়নি। আটককৃতকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ