রাজশাহী প্রতিনিধিঃ দেশ যখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়, ঠিক তখনই করোনা বিপর্যয়ে লন্ডভন্ড বাংলাদেশ সহ গোটা বিশ্ব। এই করোনা মোকাবিলায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শুধু করোনা মোকাবিলা করছেন না ধরে রেখেছেন উন্নয়নের ধারাও। জননেত্রীর এই উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মান কাজ পরিদর্শন শেষ করে ফেরার পথে পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন রাজশাহীর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুই প্রকৌশলী।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ১০ জুন ( বৃহস্পতিবার) বাগমারা উপজেলার সৈয়দ ময়েজউদ্দিন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নির্মানের দুই তলার ঢালাই কাজ পরিদর্শনে যান রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, রাজশাহীর সহকারি প্রকৌশলী সুমন রানা ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মিজান। সেই কাজ পরিদর্শন শেষে শহরে অর্থাৎ অফিসে ফিরতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে পবা উপজেলার নওহাটা বাজারের ব্রিজের উপরে দ্বায়িত্বরত পুলিশ, এএসআই ওলিউল আলম ও তার টিম এই দুই প্রকৌশলীদের থামায় এবং দুর্ব্যাবহার করে, এছাড়াও তাদেরকে আসামীদের মত জেরা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। শেষ উপায় না পেয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, রাজশাহীর নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলামকে ফোন দেয়। পরবর্তীতে রেজাউল ইসলাম ঐ পুলিশ অফিসারকে রিকোয়েস্ট করলেও সাত পাঁচ কথা শোনায়, যা খুবই দুঃখজনক।
পরিবর্তিতে রেজাউল ইসলাম এর অনুগ্রহে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজশাহী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
এবিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, রাজশাহী জেলার নির্বাহী রেজাউল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বিকার করেন এবং বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বার বার পরামর্শ দিচ্ছেন দেশের যেকোন পরিস্থিতিতে উন্নয়ন চলমান থাকবে।
আর এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সর্বত্র কাজ করে চলেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। সারাদেশে উন্নয়নের অংশ হিসেবে নির্বাচিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহের উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৩০০০ (তিন হাজার) বিদ্যালয়ে নির্মান কাজ চলমান। এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর রাজশাহীর আওতায় ৬০ টি বিদ্যালয়ের নির্মান কাজ চলমান রয়েছে।
এই স্কুল নির্মান কাজ বাগমারা উপজেলাতেও চলছে। তাই বৃহস্পতিবার আমার অফিসের দুই কর্মকর্তা ঐ নির্মান কাজ পরিদর্শন করতে যান। এবং সেখান থেকে অর্থাৎ পরিদর্শন শেষে ফিরতে কিছুটা দেরি হয়। পথিমধ্যে ( নওহাটা ব্রিজ) পুলিশের দ্বায়িত্বরত অফিসার এএসআই ওলিউল আলম ঐ দুই প্রকৌশলীদের থামায় এবং হয়রানি করে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ অফিসারের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, উপরের নির্দেশ রয়েছে, বিকাল পাঁচটার পর যাকে পাবে তাকে থানায় নিতে হবে। পরে খু্ব রিকোয়েস্ট করলে তাদের ছেড়ে দেন।
বিয়ষটি নিয়ে জানাজানি হলে মিডিয়া কর্মীরা পবা থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা তো কাউকে থানায় নিয়ে আসিনি। এএসআই ওলিউল এর দুর্ব্যাবহারের কথা জানতে চাইলে উত্তরে বলেন, আমাদের এই ধরনের কোন তথ্য নাই। তবে আমার পুলিশ অফিসার যদি সত্যিই খারাপ আচরন করে থাকে তাহলে অবশ্যই ঐ পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।