রাজশাহী ব্যুরোচীফঃ রাজশাহীতে নগর পিতার সাহায্য সহযোগিতা ও সহমর্মিতায় আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত হয়েছেন পুরো মহানগরবাসী। একের পর এক গরীব অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষকে মেয়র মহোদয় বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে চলেছেন নিঃস্বার্থে। তিনি ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পুরো রাজশাহী সিটিকে আধুনিক ও শান্তির নগরীতে রুপান্তরিত করার লক্ষে নানামুখী উন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছেন।
তার নজর শুধু উন্নয়নের দিকে নয়, নজর রেখেছেন গরীব অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের দিকেও। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ সেপ্টম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় নগর ভবনে শারীরিক প্রতিবন্ধী জেসমিন খাতুনকে হুইল চেয়ার প্রদান করেন।
শারীরিক প্রতিবন্ধী জেসমিন খাতুন রাজশাহী কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করেছেন। তিনি হুইল চেয়ার পেয়ে রাসিক মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, হুইল চেয়ারটি পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। মেয়র মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। এর আগেও মেয়র মহোদয় আমাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন।
তবে, শুধু প্রতিবন্ধী জেসমিন খাতুনই নয়, তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলেন এশিয়ান গেমসে্ পদকজয়ী কিংবদন্তি বক্সার মোশাররফ হোসেনের দিকেও। বক্সার মোশাররফ হোসেনের অসহায়ত্বের কথা জানতে পারেন এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ( রবিবার) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি এলাকায় তাঁর বাসায় ছুটে যান। এ সময় বক্সার মোশাররফ হোসেনের শারীরিক অবস্থার সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং তাঁকে নগদ এক লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।
এছাড়াও মোশাররফ হোসেনের বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতি মাসে তাকে ভাতা প্রদানের আশ্বাস দেন মেয়র । এরকম অগুনীত সহযোগিতা করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। তাই তো নগর পিতার আরেক নাম বলা হয়েছে মানবতার ফেরিওয়ালা। তাই সকলের প্রত্যাশা এই মানবতার ফেরিওয়ালাই আগামী দিনের সুখী – সমৃদ্ধি রাজশাহী গড়তে কাঙ্খিত নতুন সকালের আলো দেখাবে।