ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তারেক রহমান আবারো ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারে ভূষিত হলেন ওসি শাহিন রেজা  মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই–ইউএনও আরিফুজ্জামান  ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালে ইংরেজি বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন সরকারি বালিকা বিদ্যালয় লালপুরে নারীর জাগরণ মঞ্চ করলেন- পুতুল নারীর অগ্রযাত্রায় জিয়া পরিবার ভূমিকা রেখেছে ঐতিহাসিকভাবে—অধ্যাপক শহীদুল ভেড়ামারায় নারী সমাবেশ  ৩১ দফা বাস্তবায়নের বিএনপির লিফলেট বিতরণ ভেড়ামারায়  বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম   শুভ উদ্বোধন মাদক নয়, খেলাই হোক যুব সমাজের পথ’—গাদন খেলায় বাচ্চু মোল্লা দৈনিক দিনের খবর পত্রিকার ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

দশমিনার আছিয়া বেগমের ৮২ বছর বয়সেও মেলেনি বয়স্ক ভাতা

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিন রনগোপালদী গ্রামের মৃত্যু মোহাম্মদ হাওলাদারের স্ত্রী আছিয়া বেগম।

দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিন রনগোপালদী গ্রামের মৃত্যু মোহাম্মদ হাওলাদারের স্ত্রী আছিয়া বেগম(৮২)। সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী আছিয়া বেগম বিধবা ভাতা পাওয়ার দাবিদার, কিন্তু ভাগ্যে আজও মেলেনি সরকারি ভাতা। অথচ ৪৫বছর ধরে চেষ্টা করেও কোনো ভাতা পাননি তিনি। অনেকের পেছনে পেছনে ঘুরেছেন ভাতার জন্য। আছিয়া বেগমের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিন রনগোপালদী ৩নং ওয়ার্ডের গ্রামে।

তিনি মৃত্যু মোহাম্মদ হাওলাদারের স্ত্রী। শনিবার বিকালের দিকে তার নিজ বাড়ির সামনেই দেখা মিলে আছিয়া বেগমের ওই এলাকায়। বয়সের ভারে তার কোমর বেঁকে গেছে। কুঁচকে গেছে গায়ের চামড়া। একই গ্রামের মেয়ে জামাই বাড়িতে আশ্রায় নিয়েছেন তিনি। আছিয়া বেগম বলেন , আমার বয়স অইছে, খাটাখাটনি করতে পারিনা, শরিলে অসুখ-বিসুখ ধরছে। টাহার অভাবে ভালো ডাক্তারও দেহাইতে পারিনা। আমার ছোট মেয়ে মাইনসের বাসায় কাজ করে অভাবের সংসার এভাবে রোজগার করে দুইবেলা দুইমুঠ ভাত জোগার করে ,তা দিয়া কোনমতে খাই।

এই বৃদ্ধা আরো বলেন, সরকারে বলে ভাতার কার্ড দেয়। কই আমি তো বুড়া থুরথুরা অইয়া গেছি আমারে তো দ্যায়নি। তিনি কান্নাকন্ঠে আরও বলেন,আমি মরে যাবার আগে পাবো কি সরকারি ভাতা। আছিয়ার মেয়ে পারভিন জানান, অনেকেই কার্ড করে দিতে চেয়েছেন কিন্তু বিনিময়ে টাকা চেয়েছেন। টাকা দিতে না পারায় কোনো সরকারি সুবিধা আমি পাইনি । তিনি আরো বলেন, বাবা মরে যাওয়ার পর থেকে ভাই কোন খোঁজখবর নেয়নি।

এ বিষয়ে প্রতিবেশিদের কাছে আছিয়া বেগমের অসহায়ত্বের কথা জানতে চাইলে তারা বলেন,বয়সের ভারে মানুষিক ভারসাম্য ক্রমশই হারিয়ে ফেলছেন তিনি, একমাত্র ছেলেরা খোজ খবর না নেয়ায় মেয়ের কষ্ট করা রুজিরোজগারের মধ্যে ভাগ করে খেতে হয়। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্ম ১৯৩৮ সালের ৮ ই ফেব্রুয়ারি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৬২ বছর বয়সে তার বয়স্ক ভাতা পাওয়ার কথা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস জানান, বয়স্ক ভাতার ব্যপারে আমার কোন হাত নেই,উপজেলা চেয়ারম্যান দায়িত্বরত রয়েছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বয়স্কভাতা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজীজ জানান, ঘটনাটি দু:খ জনক পরবর্তিতে নতুন নাম আসলে তাকে বয়স্কভাতা দেয়া হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তারেক রহমান

দশমিনার আছিয়া বেগমের ৮২ বছর বয়সেও মেলেনি বয়স্ক ভাতা

আপডেট টাইম : ০৩:৫০:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১

দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিন রনগোপালদী গ্রামের মৃত্যু মোহাম্মদ হাওলাদারের স্ত্রী আছিয়া বেগম(৮২)। সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী আছিয়া বেগম বিধবা ভাতা পাওয়ার দাবিদার, কিন্তু ভাগ্যে আজও মেলেনি সরকারি ভাতা। অথচ ৪৫বছর ধরে চেষ্টা করেও কোনো ভাতা পাননি তিনি। অনেকের পেছনে পেছনে ঘুরেছেন ভাতার জন্য। আছিয়া বেগমের বাড়ি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের দক্ষিন রনগোপালদী ৩নং ওয়ার্ডের গ্রামে।

তিনি মৃত্যু মোহাম্মদ হাওলাদারের স্ত্রী। শনিবার বিকালের দিকে তার নিজ বাড়ির সামনেই দেখা মিলে আছিয়া বেগমের ওই এলাকায়। বয়সের ভারে তার কোমর বেঁকে গেছে। কুঁচকে গেছে গায়ের চামড়া। একই গ্রামের মেয়ে জামাই বাড়িতে আশ্রায় নিয়েছেন তিনি। আছিয়া বেগম বলেন , আমার বয়স অইছে, খাটাখাটনি করতে পারিনা, শরিলে অসুখ-বিসুখ ধরছে। টাহার অভাবে ভালো ডাক্তারও দেহাইতে পারিনা। আমার ছোট মেয়ে মাইনসের বাসায় কাজ করে অভাবের সংসার এভাবে রোজগার করে দুইবেলা দুইমুঠ ভাত জোগার করে ,তা দিয়া কোনমতে খাই।

এই বৃদ্ধা আরো বলেন, সরকারে বলে ভাতার কার্ড দেয়। কই আমি তো বুড়া থুরথুরা অইয়া গেছি আমারে তো দ্যায়নি। তিনি কান্নাকন্ঠে আরও বলেন,আমি মরে যাবার আগে পাবো কি সরকারি ভাতা। আছিয়ার মেয়ে পারভিন জানান, অনেকেই কার্ড করে দিতে চেয়েছেন কিন্তু বিনিময়ে টাকা চেয়েছেন। টাকা দিতে না পারায় কোনো সরকারি সুবিধা আমি পাইনি । তিনি আরো বলেন, বাবা মরে যাওয়ার পর থেকে ভাই কোন খোঁজখবর নেয়নি।

এ বিষয়ে প্রতিবেশিদের কাছে আছিয়া বেগমের অসহায়ত্বের কথা জানতে চাইলে তারা বলেন,বয়সের ভারে মানুষিক ভারসাম্য ক্রমশই হারিয়ে ফেলছেন তিনি, একমাত্র ছেলেরা খোজ খবর না নেয়ায় মেয়ের কষ্ট করা রুজিরোজগারের মধ্যে ভাগ করে খেতে হয়। জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্ম ১৯৩৮ সালের ৮ ই ফেব্রুয়ারি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৬২ বছর বয়সে তার বয়স্ক ভাতা পাওয়ার কথা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া ফেরদৌস জানান, বয়স্ক ভাতার ব্যপারে আমার কোন হাত নেই,উপজেলা চেয়ারম্যান দায়িত্বরত রয়েছেন। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা বয়স্কভাতা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজীজ জানান, ঘটনাটি দু:খ জনক পরবর্তিতে নতুন নাম আসলে তাকে বয়স্কভাতা দেয়া হবে।