ঢাকা ০২:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত  প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন করলেন এসপি সাফিউল সারোয়ার দিনাজপুরের কৃতি সন্তান রোকমুনুর জামান রনি আবারও বেসিস সহায়ক কমিটিতে নির্বাচিত পদ্মার চরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ ২ যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তারেক রহমান আবারো ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারে ভূষিত হলেন ওসি শাহিন রেজা  মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই–ইউএনও আরিফুজ্জামান  ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালে ইংরেজি বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন সরকারি বালিকা বিদ্যালয় লালপুরে নারীর জাগরণ মঞ্চ করলেন- পুতুল নারীর অগ্রযাত্রায় জিয়া পরিবার ভূমিকা রেখেছে ঐতিহাসিকভাবে—অধ্যাপক শহীদুল

প্রকৃতি নতুন সাজে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত রাণীশংকৈল রামরায় দিঘী

মাহাবুব আলম রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বাংলাদেশে শীত এলেই প্রকৃতি নতুন সাজে দেশের বিভিন্ন স্থানের মত ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম জলাশয় রামরাই দিঘির প্রাকৃতির রূপ সেজেছে নতুন সাজে। প্রকৃতির রূপটাকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা অতিথি পাখির দল সাজিয়েছে নতুন করে। রানীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে ৪ কিমি দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘীর অবস্থান। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম জলাশয় নামে পরিচিত । উপজেলা শহর থেকে অটো, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশাসহ যেকোনো বাহন যোগে যায় মানুষেরা।

শীতের আগমনে উপজেলার রামরাই দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখির দল। পাখিদের মুহুর্মুহু কলতানে পুরো দিঘি এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে। সন্ধ্যা নামলেই দিঘিপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় খাবারের সন্ধানে রামরাই দিঘিতে ভিড় জমায় তারা। পাখিদের এই মুহুর্মুহু কলতানের টানে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে রামরাই দিঘিতে ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমী পর্যটকরা ।

প্রতিবছর শীতের শুরুতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আমাদের দেশে আসে বাহারি রংয়ের এসব অতিথি পাখি। পাখিরা সুদূর সাইবেরিয়ার হিমশীতল আবহাওয়ার কবল থেকে রেহাই পেতে অভয়াশ্রম হিসেবে বেছে নেয় মিষ্টি শীতের দেশ বাংলাদেশকে। এদেশের নদ-নদী, হাওর-বাওড়ের ভালোবাসার টানে লক্ষ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসে তারা।

আত্মীয়দের সঙ্গে যেমন আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতির সঙ্গেও তেমনি আত্মীয়তার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এসব অতিথি পাখি। সুদূর রংপুর বিভাগ থেকে ঘুরতে আসা এক অতিথি বলেন বাড়িপাশের রংপুর চিড়িয়াখানার দেশী-বিদেশী পাখি দেখেই অভ্যস্ত আমি। এখানে, পাখিদের ছোটাছুটি, পাখিদের কলতান যে এত মনোমুগ্ধকর হয় তা এখানে না এলে জানতে পারতাম না। রামরাই দিঘির স্থানীয়রা জানান, আমাদের এখানে যে অতিথি পাখি আসছে তার নাম ছোট সরালি। শীতের শুরু থেকে বহু মানুষ আসছেন এসব অতিথি পাখি দেখার জন্য।

অনেক সময় অনেক পাখি শিকারিরাও আসেন পাখি শিকারের উদ্দেশ্যে আমরা সবসময় তাদের নিরুৎসাহিত করি কারণ অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে আসে অতিথি হয়ে। কেউ যেন এদের শিকার করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা এলাকাবাসীরা সারাক্ষণ সজাগ আছি। শীতের আগমনে পাখিদের উপস্থিতি দেখে প্রতিদিন ছুটে আসেন বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও প্রশাসনিক সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয়রা।

জনপ্রিয় সংবাদ

২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

প্রকৃতি নতুন সাজে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত রাণীশংকৈল রামরায় দিঘী

আপডেট টাইম : ০৬:২১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০২০

মাহাবুব আলম রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বাংলাদেশে শীত এলেই প্রকৃতি নতুন সাজে দেশের বিভিন্ন স্থানের মত ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম জলাশয় রামরাই দিঘির প্রাকৃতির রূপ সেজেছে নতুন সাজে। প্রকৃতির রূপটাকে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা অতিথি পাখির দল সাজিয়েছে নতুন করে। রানীশংকৈল উপজেলা শহর থেকে ৪ কিমি দূরে উত্তরগাঁও গ্রামের নিকটেই বরেন্দ্র অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তর জলাশয় রামরাই দিঘীর অবস্থান। এটি ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম জলাশয় নামে পরিচিত । উপজেলা শহর থেকে অটো, মোটরসাইকেল, ভ্যান, রিকশাসহ যেকোনো বাহন যোগে যায় মানুষেরা।

শীতের আগমনে উপজেলার রামরাই দিঘিতে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখির দল। পাখিদের মুহুর্মুহু কলতানে পুরো দিঘি এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে। সন্ধ্যা নামলেই দিঘিপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখি। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় খাবারের সন্ধানে রামরাই দিঘিতে ভিড় জমায় তারা। পাখিদের এই মুহুর্মুহু কলতানের টানে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে রামরাই দিঘিতে ছুটে আসছেন পাখিপ্রেমী পর্যটকরা ।

প্রতিবছর শীতের শুরুতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে আমাদের দেশে আসে বাহারি রংয়ের এসব অতিথি পাখি। পাখিরা সুদূর সাইবেরিয়ার হিমশীতল আবহাওয়ার কবল থেকে রেহাই পেতে অভয়াশ্রম হিসেবে বেছে নেয় মিষ্টি শীতের দেশ বাংলাদেশকে। এদেশের নদ-নদী, হাওর-বাওড়ের ভালোবাসার টানে লক্ষ হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আসে তারা।

আত্মীয়দের সঙ্গে যেমন আত্মার সম্পর্ক গড়ে ওঠে, বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতির সঙ্গেও তেমনি আত্মীয়তার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এসব অতিথি পাখি। সুদূর রংপুর বিভাগ থেকে ঘুরতে আসা এক অতিথি বলেন বাড়িপাশের রংপুর চিড়িয়াখানার দেশী-বিদেশী পাখি দেখেই অভ্যস্ত আমি। এখানে, পাখিদের ছোটাছুটি, পাখিদের কলতান যে এত মনোমুগ্ধকর হয় তা এখানে না এলে জানতে পারতাম না। রামরাই দিঘির স্থানীয়রা জানান, আমাদের এখানে যে অতিথি পাখি আসছে তার নাম ছোট সরালি। শীতের শুরু থেকে বহু মানুষ আসছেন এসব অতিথি পাখি দেখার জন্য।

অনেক সময় অনেক পাখি শিকারিরাও আসেন পাখি শিকারের উদ্দেশ্যে আমরা সবসময় তাদের নিরুৎসাহিত করি কারণ অতিথি পাখিরা আমাদের দেশে আসে অতিথি হয়ে। কেউ যেন এদের শিকার করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা এলাকাবাসীরা সারাক্ষণ সজাগ আছি। শীতের আগমনে পাখিদের উপস্থিতি দেখে প্রতিদিন ছুটে আসেন বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও প্রশাসনিক সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয়রা।