ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত  প্রশিক্ষণ কোর্স এর উদ্বোধন করলেন এসপি সাফিউল সারোয়ার দিনাজপুরের কৃতি সন্তান রোকমুনুর জামান রনি আবারও বেসিস সহায়ক কমিটিতে নির্বাচিত পদ্মার চরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৩, গুলিবিদ্ধ ২ যাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে, তারেক রহমান আবারো ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কারে ভূষিত হলেন ওসি শাহিন রেজা  মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই–ইউএনও আরিফুজ্জামান  ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ফেস্টিভ্যালে ইংরেজি বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন সরকারি বালিকা বিদ্যালয় লালপুরে নারীর জাগরণ মঞ্চ করলেন- পুতুল নারীর অগ্রযাত্রায় জিয়া পরিবার ভূমিকা রেখেছে ঐতিহাসিকভাবে—অধ্যাপক শহীদুল

সৈয়দপুরে তরমুজের বাজারে আগুন, পিস হিসেবে কিনে কেজিতে বিক্রি

রেজা মাহমুদ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: কৃষি বিপণন আইন অমান্য করে কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে কিনে বাজারে কেজি দরে বিক্রি করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের তরমুজ ব্যবসায়ীরা। এতে কৃষক ও সাধারণ ক্রেতারা ঠকলেও লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া তারা সিন্ডিকেট করে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি তরমুজের দাম বাড়িয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা টাকা।

বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকাকেই দায়ি করছে সাধারণ ক্রেতারা কৃষিপন্য বিপনন আইন অনুযায়ী কেজি বা পিস যেভাবেই পন্য কিনবেন সেভাবেই বিক্রি করতে হবে। ওই আইন আরও বলা হয়েছে ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না।

বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেই তা ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তরমুজ ক্রেতা শহরের ইসলাম বাগ এলাকার বাসিন্দা ইসমত আরা বলেন, গতকাল আমার ৫ বছরের ছেলে ইমরান পাশের বাড়ির এক ছেলের তরমুজ খাওয়া দেখে বায়না ধরেছে তরমুজ খাওয়ার। কিন্তু ৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজের দাম চাইছে ৩৫০ টাকা।

আমাদের মত নিম্নবিত্ত মানুষ কিভাবে এত টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কিনে খাবে? জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, সব জায়গায় কেজিতেই বিক্রি করে। তাই আমরাও কেজিতে বিক্রি করি। ছোট বড় মিলিয়ে একশ তরমুজ কিনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। লকডাউনে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাছাড়া কুলি চার্জসহ আরো নানান খরচও আছে। ছোট তরমুজগুলো বিক্রিতে লাভ নেই।

যা লাভ করি বড় তরমুজেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দীনের কাছে মুঠোফনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে তরমুজ খেটে-খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তরমুজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খুব শিগগিরি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথা জানান তিনি।

Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ

২০ বছর পর রায়: খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের দুইজনকে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

সৈয়দপুরে তরমুজের বাজারে আগুন, পিস হিসেবে কিনে কেজিতে বিক্রি

আপডেট টাইম : ০৮:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

রেজা মাহমুদ,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: কৃষি বিপণন আইন অমান্য করে কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে কিনে বাজারে কেজি দরে বিক্রি করেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের তরমুজ ব্যবসায়ীরা। এতে কৃষক ও সাধারণ ক্রেতারা ঠকলেও লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া তারা সিন্ডিকেট করে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি তরমুজের দাম বাড়িয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা টাকা।

বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকাকেই দায়ি করছে সাধারণ ক্রেতারা কৃষিপন্য বিপনন আইন অনুযায়ী কেজি বা পিস যেভাবেই পন্য কিনবেন সেভাবেই বিক্রি করতে হবে। ওই আইন আরও বলা হয়েছে ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিপ্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না।

বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেই তা ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তরমুজ ক্রেতা শহরের ইসলাম বাগ এলাকার বাসিন্দা ইসমত আরা বলেন, গতকাল আমার ৫ বছরের ছেলে ইমরান পাশের বাড়ির এক ছেলের তরমুজ খাওয়া দেখে বায়না ধরেছে তরমুজ খাওয়ার। কিন্তু ৫ কেজি ওজনের একটি তরমুজের দাম চাইছে ৩৫০ টাকা।

আমাদের মত নিম্নবিত্ত মানুষ কিভাবে এত টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কিনে খাবে? জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা বলেন, সব জায়গায় কেজিতেই বিক্রি করে। তাই আমরাও কেজিতে বিক্রি করি। ছোট বড় মিলিয়ে একশ তরমুজ কিনি ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায়। লকডাউনে পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাছাড়া কুলি চার্জসহ আরো নানান খরচও আছে। ছোট তরমুজগুলো বিক্রিতে লাভ নেই।

যা লাভ করি বড় তরমুজেই। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দীনের কাছে মুঠোফনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে তরমুজ খেটে-খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তরমুজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে খুব শিগগিরি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার কথা জানান তিনি।