নুরুল হক রুনু, মদন (নেত্রকোণা): অগ্নিদগ্ধ দরিদ্র সাত বছরের শিশু মাকসুদার চিকিৎসা দায়িত্ব নিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ। প্রায় তিন সপ্তাহ পূর্বে, পুতুলের শাড়ি সুঁতা পুড়তে গিয়ে শরীরে থাকা জামায় আগুন লেগে সে মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। ঐ দিন শিশুটিকে মদন হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে রেফার্ড করেন।
দরিদ্র দিন মুজুর পিতা টাকার অভাবে মেয়েকে ঢাকায় না নিয়ে বাড়িতেই রেখে দেন।চিকিৎসা অভাবে শিশুটি শরীরের পোকা সংক্রমণে পঁচন ধরে যায়। শিশুটির এ অবস্থার সংবাদ সোস্যাল মিডিয়ায় বাইরাল হলে উপজেলা প্রশাসন তৎপর হয়ে, তার চিকিৎসা দায়িত্ব নেন। বৃহস্পতিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি শিশু মাকসুদাকে উন্নত চিকিৎসা জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা হয়।
শিশুটি মদন পৌরসভার বাড়িভাদেরা গ্রামের দরিদ্র দিন মজুর সিদ্দিক মিয়া মেয়ে ও পৌরসভার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ রহিম চৌধুরী অটিজম ও প্রতিবন্ধী স্কুলে প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান , গতকাল আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম করোনার একটি গ্রুপ এর মাধ্যমে শিশুটির অগ্নিদগ্ধের বিষয়টি জানতে পারি।তার চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে নগদ ৩০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। শিশুটিকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড সার্জারি ইনস্টিটিউট বিভাগে ভর্তির জন্য আজ ঢাকা পাঠানো হয়েছে । তার চিকিৎসার সকল খরচ উপজেলা প্রশাসন বহন করবে।