রেজা মাহমুদ, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট, মারধর ও নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা চলিয়েছে একটি কিশোর গ্যাং। এ ঘটনায় আহত দুইজন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শহরের বাঁশবাড়ি বটতলা এলাকায়। এতে ৮জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, পাওনা টাকা নিয়ে ওই এলাকার আলি হাসান মোহাম্মদ লালনের সাথে একই এলাকার কিশোর মোঃ জিয়া ইসলাম ও রানা ইসলামের কথা কাটাকাটি হয়। স্থানীয়রা বিষয়টিকে মিটমাট করে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর ওই দুইজনসহ কিশোর গ্যাংয়ের সানি ইসলাম, লাড্ডান ইসলাম, ছাব্বির ইসলাম, মোঃ ভান্ডারী, মোঃ সাদ্দাম ও মোঃ ডলার বাদী লালন ও তার ভাগিনা শমসের আলীকে মারধর করে।
সেখানেও স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মামা-ভাগিনাকে রক্ষা করেন। এতেও গ্যাংটি ক্ষ্যান্ত না হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ শমসেরের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় শমসেরের স্ত্রী আইভি বেগম, ছেলে মোঃ লিসান, ভাগিনি মনি ও সাজিয়াকে মারধর করে। তারা মনি ও সাজিয়ার পরণের কাপড় ছিঁড়ে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় ।
ওইসময় গ্যাংটির হাত থেকে রক্ষা পায়নি শমসেরের বোন গোসলরত ইসরাত জাহানও। তাকে গোসলখানা থেকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে এনে নির্যাতনের চেষ্টা চালায়। মনি বেগমের স্বামী ইমরান এগিয়ে এলে
তাকেও মারধর করা হয়। পরে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে কিশোর গ্যাংটি বাঁশের লাঠি, কাঠের বিট, বটি ফেলে পালিয়ে যায়।
বাদী আলি হাসান মোহাম্মদ লালন দাবি করেন, হামলাকারী গ্যাংটি বাড়ির মেয়েদের স্বর্ণালংকার ও ড্রয়ারে রাখা নগদ এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। লালন বলেন ,থানায় অভিযোগ করায় ওই গ্যাংটি আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ তুলে নিতে।
ওই এলাকার কাউন্সিলর মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা পরস্পর বিবাদে জড়িয়ে পড়ে। তবুও আমি বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছি। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।