মধুপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরের কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর বাজারের দক্ষিন পার্শ্বে জটাবাড়ী এলাকায় আজ দুপুরে গজারি কাঠ পাচারের অভিযোগে সাইফা করাতকলের চাকাসহ সকল যন্ত্রপাতি জব্দ করেছে মধুপুর বনবিভাগ। এ সময় তারা পিরোজপুর নাগরখালী খালে লুকিয়ে রাখা গজারি কাঠও উদ্ধার করে।
জানা যায়, মধুপুরের জটাবাড়ী গ্রামে সাইফা করাতকল স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে কাঠ চিরাই ও বিক্রির ব্যবসা করছেন শহিদুল ইসলাম। তার করাত কলের বনজ সম্পদের ব্যবসার পাশাপাশি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ গাছও পাচার করেন বলে অভিযোগ উঠে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে মধুপুর বনাঞ্চলের রসুলপুর জাতীয় উদ্যান সদর রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক মো. জামাল উদ্দিন অভিযান পরিচালনা করেন।
মধুপুর বনাঞ্চলের রসুলপুর জাতীয় উদ্যানের সহকারি বন সংরক্ষক মো. জামাল উদ্দিন জানান, বুধবার সকালে সাইফা করাত কলে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই করাত কলের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নাগরখালী খালে লুকিয়ে রাখা পাঁচ খন্ড পুরাতন গজারী কাঠ উদ্ধার করা হয়। অবৈধভাবে সংরক্ষিত বনের কাঠ পাচার ও ব্যবসা পরিচালনার জন্য করাত কলের চাকা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে করাতকলের মালিক শ্রমিক পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সহকারি বন সংরক্ষক। অপরদিকে করাত কলের মালিক শহিদুল ইসলাম জানান, আমি সরকারি নিয়ম মেনে লাইসেন্স নিয়ে বৈধভাবে করাতকলের ব্যাবসার পাশাপাশি কাঠ ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করি।
কে বা কারা নাগরখালী পিরোজপুর খালে গজারী কাঠ রেখেছে আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমাকে ফাসানোর জন্য ষড়যন্ত্র করে এ কাঠ রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।